বিএনপির অন্যতম অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলে চলছে বহিষ্কারের হিড়িক। বুধবার সংগঠনটির কুষ্টিয়ার তিন নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল এই বহিষ্কারাদেশ অনুমোদন করেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন দলের দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম। বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কৃষকদল দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) ও কুষ্টিয়া জেলার সাবেক সভাপতি এসএম গোলাম কবির, কুষ্টিয়া জেলা কৃষক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মোকাররম হোসেন মোকা এবং কুষ্টিয়া জেলা কৃষক দলের সাবেক সহ-সভাপতি ও কুষ্টিয়া পৌর কৃষক দলের সাবেক সভাপতি বাবলা আমিনকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলের সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ১২ই জুন ২০২৪ থেকে এই বহিষ্কারাদেশ কার্যকর হবে।
এদিকে এই বহিষ্কারাদেশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কুষ্টিয়ার কৃষক দলের তিন নেতা। সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়া জেলা কৃষক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মোকাররম হোসেন মোকা বলেন, আমরা বিএনপি করি, আমরা কৃষক দলের কেউ না। আমাদের বহিষ্কারের এখতিয়ার কৃষক দলের কারোর নেই। এই বহিষ্কার আমরা মানি না। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) এসএম গোলাম কবির বলেন, আমাদের কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। আমাকে বহিষ্কারের এখতিয়ারও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বা স্থায়ী কমিটির। তারা সরাসরি বহিষ্কার করতে পারে না। এটা বেআইনি। এই বহিষ্কার কার্যকর হবে না।
তিন নেতার বহিষ্কারের বিষয়ে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল গণমাধ্যমকে বলেন, সম্প্রতি কর্মী সভা করার জন্য আমাদের সংগঠনের প্রেসিডেন্ট হাসান জাফির তুহিন কুষ্টিয়া জেলা সফরে গেলে দলের শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করেন ওই তিন নেতা। সেজন্য তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা কৃষক দল করেন না, বিএনপি করেন তাদের বহিষ্কারের এখতিয়ার কৃষক দলের রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বাবুল বলেন, মোকাররম কৃষক দলের বর্তমান কমিটির কোন পদে না থাকলেও তিনি কুষ্টিয়া জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বাকি দুজন কৃষক দলের পদপদবিতে রয়েছেন। তাই তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউকে বহিষ্কার করা বা অব্যাহতি দেয়ার এখতিয়ার রয়েছে শুধু দলের চেয়ারম্যান কিংবা স্থায়ী কমিটির। দলের কোনো নেতা যদি কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাহলে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করতে পারে মাত্র।