খবর৭১ঃ গাইবান্ধা উপ-নির্বাচনে ভোট বন্ধ করে নির্বাচন কমিশন সঠিক কাজ করেছে বলে অভিমত দিয়েছেন সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। একই সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নির্বাচন কমিশনের কাছেই থাকার পক্ষে বলেছেন তারা।
বৈঠকে সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের কেউ কেউ ইভিএমে খরচ না করে সিসি ক্যামেরায় খরচ করার কথা বলেছেন। আবার ইভিএম ও সিসি ক্যামেরার পক্ষেও মত দিয়েছেন অনেকে।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনের সভাকক্ষে সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও সাবেক সচিব ও উপসচিবদের নিয়ে আয়োজিত সভায় এসব মতামত উঠে আসে। পরে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানানো হয়।
বৈঠকে অংশ নেন সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার- কাজী রকিবউদ্দিন, কেএম নুরুল হুদা ও বিচারপতি আব্দুর রউফ।
বুধবারের এই বৈঠকে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে উঠে এসেছে গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনের ভোট বন্ধ করার ইস্যু।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা সরাসরি ইভিএমের পক্ষে মত দিলেও বিচারপতি আব্দুর রউফ ও কাজী রকিব বলেন, আরও যাচাই-বাছাই ও জনমত তৈরি করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এছাড়া অনিয়মের কারণে গাইবান্ধা উপনির্বাচন বন্ধে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাকে সাধুবাদ ভবিষ্যতেও এমন সিদ্ধান্ত নিতে ইসিকে অটল থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, কমিশন সঠিক কাজ করছে কি না, তার মূল্যায়নের জন্যই সাবেকদের ডাকা হয়েছে। আমরা সিনিয়রদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছি।
‘আইন অনুযায়ী অনিয়ম হওয়ায় ভোট বন্ধ করার পরও কেন সাবেকদের সঙ্গে পরামর্শের প্রয়োজন পড়লো’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, যে কোনো বিষয়ে সাবেকদের পরামর্শ নিতেই পারি।
‘এনআইডির বিষয়ে সাবেকরা কি পরামর্শ দিয়েছেন’ জানতে চাইলে সিইসি জানান, এনআইডি ইসিতে থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন সবাই। বৈঠকে অংশ নেয়া অধিকাংশই মনে করেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে হস্তান্তর হলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের জটিলতা তৈরি হবে।
রোডম্যাপ অনুযায়ী ধীরে ধীরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দিকে হাঁটছে নির্বাচন কমিশন। এর আগে সংলাপ হয়েছে রাজনৈতিক দলসহ নানা অংশীজনের সঙ্গে।