আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা হবে বন্ধুর মতো, মহাজনের মতো নয়’

0
184

খবর৭১ঃ পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেনন, বাজেটে সহায়তার শর্ত নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনা হবে বন্ধুর মতো, মহাজনের মতো নয়। তবে এটা বলতে পারি আইএমএফ থেকে অবশ্যই আমরা ঋণ পাবো, এটা গ্যারান্টি। আইএমএফ আমাদেরই অংশ। এর আগেও আমরা আইএমএফ থেকে ঋণ পেয়েছি। তাদের এদেশে আসাটা একটা রুটিন ওয়ার্ক।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সন্মেলনের কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত ‘ডিজেএফবি উন্নয়ন সংলাপে’ এসব কথা বলেন তিনি। সংলাপের সভাপতিত্ব করেন ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ-উজ-জামান। সংলাপ সঞ্চালন করেন ডিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহিন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতি বড়, আমাদের অর্থের ক্ষুধা আছে। তাই আমরা আগের তুলনায় বেশি ঋণ চেয়েছি। আমরা অবশ্যই ঋণ পাবো। শর্তের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু শর্ত তো থাকে। বন্ধুর কাছেও তো টাকা ধার নিলে বলে কবে টাকা ফেরত দিবি। আইএমএফ আসবে আমাদের সঙ্গে কথা বলবে বন্ধুর মতো। কিন্তু মহাজনের মতো নয়।

ভারতীয় ঋণের অর্থছাড়ের প্রবাহ কম উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গেছেন। সেখানে নানাবিধ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। আশা করি এই সফরের মাধ্যমে তাদের ঋণের অর্থের প্রবাহ বাড়বে। আমাদের প্রকল্পগুলোর আরো দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।

তিনি বলেন, এই ঋণগুলো অনেকটা আমলানির্ভর। তাদের দেশের সচিবালয় বলে আমরা তাদের সহযোগিতা করি না। আমাদের দেশের সচিবালয় কর্তারা বলেন, তারা আমাদের সহযোগিতা করে না। আশা করি এই জটিলতা কাটবে শিগগিরই।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, আমদের অর্থনীতি খাদে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। এসময় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কিনারেই দাড়িয়ে গেছে। পেছেনে ফেরা শুরু হয়নি। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে পারলে আশা করি অক্টোবরে ঘুরে দাড়ানোর সম্ভাবনা আছে। তিনি আরো বলেন, ডলারের দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত হলে আমি খুশি হব। এর বেশি হলে কষ্টদায়ক হবে। সেই সঙ্গে মূল্যস্ফীতি অক্টোবর মাসে কমে আসতে পারে। আগষ্ট ও সেপ্টেম্বরে বাড়তে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জিডিপির প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশ হলে আমাদের জন্য আনন্দদায়ক হবে।

দুর্নীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি সমাজে আছে। কিন্তু আমাদের সমাজে দূর্নীতি দৃশ্যমান। প্রকল্পের দুর্নীতি কমাতে অনেক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
তেলের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জ্বালানি তেল ভয়ংকর একটা জিনিস। এর দামের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তেলে দাম বৃদ্ধি আইএমএফের পরামর্শে করা হয়নি। নিজেদের প্রয়োজনে করা হয়েছে। তেলের এই দাম এখন কমতে শুরু করেছে। সামনে আরও কমবে। তবে সেটি আগের দামের পর্যায়ে যাবে না।

টাকার মান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন কোকের মুখ বন্ধ থাকলে হঠাৎ খোলার পর ফোস করে শব্দ হয়। তেমনি দীর্ঘদিন টাকার মান ধরে রেখে হঠাৎ ছেড়ে দেওয়ায় এতো আলোচনা হচ্ছে। তিনি বলেন, অর্থনীতির প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here