শেখ হাসিনার হাত ধরে শ্রমিকের মজুরি ৬ থকে ৮ গুণ বেড়েছে : মে দিবসে তথ্যমন্ত্রী

0
179

খবর৭১ঃ  তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বিভিন্ন সেক্টরে শ্রমিকদের মজুরি ৬ থেকে ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বিএনপি তাদের আমলে বিভিন্ন সময়ে অধিকার আদায়ে আন্দোলনকারী শ্রমিকদের গুলি করে হত্যা করেছে। এটিই বঙ্গবন্ধুকন্যার সাথে অন্যদের পার্থক্য।

রোববার (১ মে) দুপুরে মন্ত্রী তার বন্দরনগরী চট্টগ্রামের দেওয়ানজী পুকুরপাড়ের বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ সব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন মন্ত্রীর সাথে ছিলেন।

মে দিবস উপলক্ষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আজ পহেলা মে, শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানাবিধ পদক্ষেপের কারণেই শ্রমজীবি মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে, ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। ২০০৯ সালে আমরা সরকার গঠন করার আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি ছিল ১ হাজার ৬৫০ টাকা, এখন সেটি ৮ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে। পাটকল শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি ছিল মাত্র ৯৬০ টাকা, এখন সেটি উন্নীত হয়েছে ৮ হাজার ৩’শ টাকায়।’

এভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে বিভিন্ন সেক্টরে শ্রমিকদের মজুরি ৬ থেকে ৮ গুণ বেড়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, একইসাথে শ্রমিকদের চিকিৎসা, যাতায়াত, বাড়িভাড়া, গার্মেন্টস শ্রমিকদের দুপুরের টিফিনের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ভাতা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের সরকার নিশ্চিত করেছে। আশির দশকে শ্রমিকের মজুরি সাড়ে তিন কেজি চালের দামের সমান করার শ্লোগান ছিল। আর এখন শ্রমিকের মজুরি ১৫ কেজি চালের মূল্যের সমান হয়েছে।

বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বক্তব্য ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে জিয়াউর রহমান সহযোগিতা করেছিলেন’ এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি তাদের মিথ্যাচারের আরেকটি প্রমাণ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে যখন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়, তখন তিনি ভারত থেকে যাতে দেশে না আসেন সেজন্য সমস্ত প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিলেন জিয়াউর রহমান। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা ঘোষণা করেছিলেন, যে কোনো মূল্যে দেশে আসবেন। তার এই দৃঢ়চেতা মনোভাব, একইসাথে আন্তর্জাতিক চাপের কারণে জিয়া বঙ্গবন্ধুকন্যাকে দেশে আসতে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।’

শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুকন্যা আসার সময় বিমানবন্দরে যাতে লোকসমাগম নাহয় সেজন্যও জিয়া নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন ‘দেশে আসার পর শেখ হাসিনা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে একটি মিলাদ পড়াতে চেয়েছিলেন। জিয়া সেই অনুমতি দেননি। পরে ৩২ নম্বরের বাড়ির সামনের রাস্তায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে শহীদদের মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ পড়াতে হয়েছে। এই হচ্ছে জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি, আর টুকু সাহেব কি বলেন ?’

এসময় সবাইকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সরকারের পক্ষ থেকে যাবতীয় পদক্ষেপের কারণে সাম্প্রতিক অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ঈদ যাত্রাটা অনেক নির্বিঘ্ন হয়েছে। মহাসড়ক, রেল সব ক্ষেত্রেই অন্যান্য বছরের তুলনায় ব্যবস্থাপনা অনেক ভালো।

অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. শামসুল আলম তালুকদার প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here