আজ চৈত্র সংক্রান্তি

0
140

খবর৭১ঃ আজ বুধবার (১৩ এপ্রিল) শেষ হচ্ছে ১৪২৮ বঙ্গাব্দ। চৈত্র মাসের শেষ দিন চৈত্র সংক্রান্তি। আবার এটি বাংলা বর্ষ ও বসন্ত ঋতুর শেষ দিনও। পরের দিন বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-নতুন বাংলা বর্ষ ১৪২৯। ‘জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, মুছে যাক গ্লানি’ এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানাবে বাঙালি।
আবহমান বাংলার চিরায়ত নানা ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্র সংক্রান্তি। বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে নানা অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন। কথিত আছে চৈত্র সংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্র সংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় উৎসব।

সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বাংলা বছরের এই দিনটিকে পুণ্য দিন বলে মনে করেন। স্নান, দান, ব্রত ও উপবাসের মধ্যদিয়ে অন্যরকমভাবে চৈত্র সংক্রান্তি পালন করেন তারা।

বছর বিদায়ের উৎসব পালন করেন ব্যবসায়ীরাও। শুচি-শুদ্ধ হয়ে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও নতুন করে সাজিয়ে তোলেন। আগের পুরোনো সব জঞ্জাল পরিষ্কার করেন। পুরোনো সব হিসাব চুকিয়ে নতুন হালখাতা খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। নতুন বছরের প্রথম দিনে হালখাতা খোলা হয়।

দেশের বিভিন্ন স্থানে চৈত্র সংক্রান্তির মেলা উপলক্ষ্যে গৃহস্থরা মেয়ের জামাইকে দাওয়াত করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। নতুন পোশাক পরিধানের রীতি তো বহু আগে থেকেই।

গত দুবছর করোনা সংক্রমণ রোধে পহেলা বৈশাখসহ সব ধরনের জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে কোনো অনুষ্ঠানও ছিল না। তবে এবার অনেকটা করোনামুক্ত পরিবেশেই চৈত্র সংক্রান্তি এবং বাংলা নববর্ষ পালনে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এবার ছায়ানটের অনুষ্ঠানসহ বর্ণিল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here