দুবাইয়ে অবস্থানরত আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসী কে, যা বললেন কমান্ডার মঈন

0
156

খবর৭১ঃ আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু খুনের পরিকল্পনা হয় দুবাইয়ে। পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন বিদেশে পলাতক কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। খুনের দর হাঁকা হয় ১৫ লাখ টাকা। শেষমেশ এই দরেই দফারফা হয়। দেশে বসে খুনের বাস্তবায়ন করে পেশাদার কিলারচক্র। হত্যার আগে ও পরে টিপুর গতিবিধি রেকির আপডেট মেসেজ আদান-প্রদান করে মাস্টারমাইন্ড ওমর ফারুকসহ তার সহযোগীরা। র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া এই ওমর ফারুকসহ চারজনের জবানিতে বেরিয়ে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও ১০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক (৫২), পরিকল্পনায় সম্পৃক্ত আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ (৩৮), মো. নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির (৩৮) এবং মো. মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশ (৫১)।

দুবাইয়ে অবস্থানরত আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসী কে জানতে চাইলে র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সন্ত্রাসীর নাম পেয়েছি। মুসার অবস্থান পেয়েছি দুবাইয়ে। সেখানে তিনি আন্ডারওয়ার্ল্ডের এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। একইভাবে কাইল্লা পলাশ একজন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে এই হত্যাকাণ্ডের তথ্য দিচ্ছিলেন, যার অবস্থান পার্শ্ববর্তী একটি দেশে। আবার মুসা এর আগে কিলিং মিশনে একজন কিলার নিয়েছিলেন, সেখানে আন্ডারওয়ার্ল্ডের একজন সন্ত্রাসীর নাম আমরা পেয়েছি, তার অবস্থান আমরা পাচ্ছি ফ্রান্সে। এখন তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এ দেশে অবস্থান করে ভিপিএনের মাধ্যমে আরেক দেশের নম্বর দিয়ে কল করা যায়। এখন এই ঘটনায় আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে, নাকি তারা সরাসরি জড়িত, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শুধু আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসী নয়, আন্ডারগ্রাউন্ডের কিছু সন্ত্রাসীর নামও আমরা পেয়েছি। যাদের অনেককেই আমরা গ্রেফতার করেছি। তাদেরও এই হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। কোনোকিছুই আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না।’

প্রসঙ্গত, ২৪ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহজাহানপুরের আমতলা এলাকায় সড়কের ওপর প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু। এছাড়া ঘটনাস্থলে একজন নিরীহ কলেজছাত্রী এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হয়। পেশাদার কিলার বাহিনী এক থেকে দেড় মিনিটের অপারেশন শেষে পালিয়ে যায়। ১২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে টিপুর দিকে। এর মধ্যে তার শরীরে সাত রাউন্ড গুলি লাগে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here