করোনায় মৃত্যুশূন্য, শনাক্ত বেড়েছে

0
208

খবর৭১ঃ
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১২২ জনেই অপরিবর্তিত থাকল।

এই সময়ে নতুন করে আরও ৮১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল যা ছিল ৭৩ জন। সে হিসেবে মৃত্যু শূন্য থাকলেও শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে।

এ নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৬৫৮ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ১ দশমিক ০৯ শতাংশ।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮৯৩ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৮২ হাজার ১৯৭ জন।

২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৩৭০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৭ হাজার ৪১৩টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ দশমিক ০৯ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ।

গতকালও দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল শূন্য। তবে তার আগের দিন দুইজনের মৃত্যু হয়েছিল, শনাক্ত ছিল ৭২ জন; শনাক্তের হার ছিল শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ। গতকাল শনাক্ত ছিল ৭৩ জন; শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।

এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।

২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করে। সম্প্রতি সে পরিস্থিতি প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here