রাসেলের ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে আর্মি অফিসার হবে: প্রধানমন্ত্রী

0
239

খবর৭১ঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছোট ভাই রাসেলের ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে আর্মি অফিসার হবে। তাই মাওয়া ও জাজিরা সেনানিবাসকে শেখ রাসেল সেনানিবাস হিসেবে নামকরণ করার জন্য সেনাবাহিনী প্রধানকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং সরকারের পক্ষ থেকে শেখ রাসেল সেনানিবাসের সকল অফিসার, জেসিও ও অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্যকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে ভবিষ্যতে ‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’ বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

মঙ্গলবার পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে শেখ রাসেল সেনানিবাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শরিয়তপুরের জাজিরায় নতুন এই সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই সেনানিবাসের ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড ও অধীনস্থ ইউনিটসমূহ নিরলসভাবে পরিশ্রম করে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আজ শেখ রাসেল সেনানিবাস একটি পূর্ণাঙ্গ সেনানিবাস হিসেবে পরিণত হয়েছে; যেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য সকল প্রকার প্রশিক্ষণ এবং প্রশাসনিক সুবিধা তৈরি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর আমি জাপানে গিয়েছিলাম। তখন তাদের পদ্মা ও রূপসা সেতু নির্মাণের জন্য অনুরোধ জানাই এবং তারা রাজি হয়। এরপর সম্ভাব্যতা যাচাই করে এবং আমি পদ্মাসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি ২০০১ সালে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পরে পদ্মাসেতুর নির্মাণের কাজ বন্ধ করা হয়। তারা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে পদ্মা সেতু মাওয়া-জাজিরা থেকে সরিয়ে নিতে চায়। দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পরে আবার উদ্যোগ নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, বিশ্বব্যাংক অর্থ বন্ধ করে দেয়, একটা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যে— (পদ্মা সেতু প্রকল্পে) দুর্নীতি হয়েছে। সেটা আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিই এবং তাদের বলি, এটা প্রমাণ করতে হবে। কিন্তু তারা তা পারেনি।

তিনি বলেন, কানাডা আদালতের মামলার রায়ে প্রমাণ হয় এতে কোন দুর্নীতি হয়নি ও সম্ভবনাও ছিল না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নেই, কারও অর্থায়নে নয়, যেহেতু মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে। এর জবাব আমরা দিবো। পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করবো। এটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। অনেকেই মনে করেছিল এটা আমরা পারব না। কিন্তু মানুষের সমর্থন ও সাহস পাওয়ায় পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া বন্ধুপ্রতীম দেশও আমাদের সহযোগিতা করেছে।

পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের জিডিপিতে আরও এক থেকে দুই ভাগ সংযুক্ত হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এর ফলে আমরা উন্নয়নে আরও একধাপ এগিয়ে যাবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here