বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৩৭ কোটি টাকা মেগা প্রকল্পের অধীনে ১০ তলা একাডেমিক ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। প্রায় ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ভবনের কাজ যৌথ ভাবে করছে মাইশা ও হোসাইন কন্সট্রাকশন গ্রুপ। মেগা প্রজেক্টের কাজের জন্য পাঁচটি কোম্পানির রড ব্যবহারের অনুমতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গতকাল রাতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই অনুমোদনহীন অন্য আরেকটি কোম্পানির রড আনা হয়েছে। পরবর্তীতে বিষয়টি জানতে পেরে উক্ত রড ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, একাডেমিক ভবনের কাজের জন্য গতকাল রাতে অনুমোদনহীন এস এস গ্রুপের টাইগার রড নিয়ে এসেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এই রড আনতে নিষেধ করেছিলো প্রকৌশল অফিস। তবুও নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে রাতের আঁধারে রড নিয়ে আসা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর ঘটনাস্থলে তদারকি করতে গেলে ঠিকাদারদের সাথে বাককিতন্ডা হয়। পরে এই কাজের দায়িত্বে থাকা উপ-প্রধান প্রকৌশলী নাসিমুজ্জামান ঠিকাদারকে ডেকে পাঠায়।
এ বিষয়ে উপ-প্রধান প্রকৌশলী নাসিমুজ্জামান বলেন, ‘ তারা যেভাবে রড নিয়ে আসছে সেভাবে নিয়ে যাবে। এই রড ব্যবহার করা যাবে না। রডটি টেস্ট করার বিষয়েও এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।’
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা জানান, পর্যাপ্ত তদারকির অভাবে এ ধরনের বিভিন্ন কর্মকান্ড ঘটছে, যা ভবিষ্যতের জন্য হুমকি স্বরুপ। আমরা আশাবাদী মাননীয় উপাচার্য মহোদয় বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘অনুমতি ছাড়াই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কেনো অন্য একটি কোম্পানির রড নিয়ে আসলো আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি জানার পরপরই আমি এই রড ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছি। এ বিষয়ে উক্ত ঠিকাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”