শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক: ড. জাফর ইকবাল

0
187

খবর৭১ঃ সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক। সরকারের কাছে আন্দোলনের সঠিক তথ্য নেই। তিনি সরকারের কাছে তাদের প্রকৃত তথ্য তুলে ধরবেন বলে জানান।

বুধবার ভোর ৫টার দিকে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকট নিরসনে শিক্ষার্থীদের তিনি এ আশ্বাস দেন।

ভোর পৌনে ৪টায় সিলেটে পৌঁছান অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল ও ইয়াসমীন হক। সরাসরি চলে যান অনশনস্থলে। সেখানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন।

এ সময় তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক। তিনি শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার প্রস্তাব দেন। শিক্ষার্থীরা বাকি অনশনকারীদের হাসপাতাল থেকে অনশনস্থলে আনার জন্য সকাল ৮টা পর্যন্ত সময় চান। এ সময় আন্দোলনে সহায়তার জন্য পাঁচ সাবেক শিক্ষার্থীর গ্রেফতারের কথা শুনে জাফর ইকবাল আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।

এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের হাতে একটি খাম তুলে দিয়ে বলেন, এখন ওরা যেন তাকেও গ্রেফতার করে।

গত ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট নিক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আইজিপিকে বলেছি— ছাত্রদের বিশ্বাস করুন। ছাত্ররা মুক্তিযুদ্ধ করেছে। তাদের মারবেন না। সবার হাতে স্মার্টফোন থাকে একটা ছবি দেখান যে, ছাত্ররা গুলি করেছে। এসবের কোনো প্রমাণ নেই।’

শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তোমরা আমাকে গণমাধ্যমগুলোর সামনে কথা দিয়েছ, এই অনশন ভাঙবে। তোমাদের জীবন অনেক মূল্যবান। একজন মানুষের জন্য তোমরা জীবন দিয়ে দেবে, এটি মানা যায় না। সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীর বিষয়ে কথা হয়েছে। যেহেতু মামলা করা হয়েছে, তো আদালতে তোলা হবে। তারা কথা দিয়েছেন ছাত্রদের জামিন দেওয়া হবে।’

‘তোমরা টের পাচ্ছ না তোমরা কি করেছ। ৩৪ ভিসির ঘুম নষ্ট হয়ে গেছে। তোমরা সারা দেশের বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ে নাড়া দিয়েছ। তোমাদের আমি অভিনন্দন জানাই। এমন আন্দোলনে বাইরের মানুষ নিজেদের স্বার্থে নিয়ে নেয়। তোমরা সেটি হতে দাওনি। আমি বহিরাগত। এর পরও তোমরা যদি আমাকে ডাক আমি সাড়া দেব।’

প্রসঙ্গত আন্দোলনে অর্থ জোগানের অভিযোগে শাবিপ্রবির সাবেক ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে সিলেট মহানগর পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর রাতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এর আগে ঢাকা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ওই ৫ জনকে সিলেট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

মামলার পর তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ।

গ্রেফতার সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন— হাবিবুর রহমান খান (২৬), রেজা নুর মুইন (৩১), এএফএম নাজমুল সাকিব (৩২), একেএম মারুফ হোসেন (২৭), ফয়সাল আহমেদ (২৭)।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here