সৈয়দপুরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে যুবতীর আত্মহত্যা

0
197

মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুর :
সৈয়দপুরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সানজিদা আক্তার কণা (২০) নামে এক যুবতী আত্মহত্যা করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় শহরের নতুন বাবুপাড়ার পৌর ভূমি অফিস সংলগ্ন এলাকার একটি বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে মৃতের লাশ উদ্ধার এবং প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
জানা যায়, সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারি শফিকুল ইসলাম ও ফুলমণি দম্পত্তির কন্যা সানজিদা আক্তার কণা। তার স্বামী অন্যত্র বসবাস করলেও মেয়ে কণা (২০) ও নাতী রায়হানকে নিয়ে উল্লিখিত এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছে।

সৈয়দপুর থানা চত্বরে কথা হয় কণার মা ফুলমণির সাথে। তিনি জানান, আজ সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নাস্তা শেষে অন্য একজনের কাছে পাওয়া টাকা নিতে বাড়ির বাইরে যান। এরআগে সে তার মেয়ে দুপুরের রান্নার প্রস্তুতি নিতে বলেন। এর ঘন্টাখানেক পর তাঁকে তার মেয়ের বান্ধবী ফোন করে জানায়, কণাকে ফোন দিচ্ছি কিন্তু সে ফোন রিসিভ করছে না। পরে সেও (কণার মা) কণার মোবাইলে একাধিক
কল দিলেও ফোন রিসিভ না করায় বাসায় এসে দেখেন তার মেয়ে নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছে। এসময় তাঁর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে ফাঁস লাগানো অবস্থায় কণাকে নামিয়ে ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষনা করে। কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা তিনি জানেন না। সানজিদা আক্তার কনার ভাগনা শিশু রায়হান (১১) জানায়, ঘটনার আগে সে বাসায় ছিল। কিন্তু তার খালা কণা তাকে বাইরে খেলতে পাঠিয়ে দেয়। এরবেশি সে কিছু জানেনা। প্রতিবেশীরা জানায়, সকালে সবার সাথে ভালভাবেই কথা বলেছে সে। পরে শুনি কণা অাত্মহত্যা করেছে।

সৈয়দপুর সদর পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম জানান, সানজিদা আক্তার কণার খালাতো বোন রাবেয়ার মাধ্যমে খবর পেয়ে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে যাই। সেখানে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করা হয়। এতে গলায় ফাঁস লাগানো দাগ দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যার ঘটনা। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসনাত খান লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলেই জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here