ঢাকার সঙ্গে ময়মনসিংহ বিভাগের বাস চলাচল বন্ধ

0
364

খবর৭১ঃ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের জয়দেবপুর টঙ্গি থেকে উত্তরা পর্যন্ত বেহাল সড়কটি চলাচলের উপযোগী না করায় রবিবার থেকে ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলা থেকে ঢাকাগামী সব বাস ও ট্রাক বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতি। শনিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘোষণা প্রচার করে ময়মনসিংহ নগরে মাইকিং করা হয়।

জেলা মোটর মালিক সমিতির কোচ বিভাগের সম্পাদক সোমনাথ সাহা পরিবহন বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গাজীপুরের জয়দেবপুর-টঙ্গীর ১২ কিলোমিটার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক জরুরিভিত্তিতে মেরামত করে গাড়ি চলাচল উপযোগী না করায় ১৬ জানুয়ারি (রবিবার) থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহের (ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা) যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকবে।

এর আগে গত ২ জানুয়ারি ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতি ও ময়মনসিংহ চেম্বার অব কর্মাস সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে জয়দেবপুর-টঙ্গীর যানজট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্তা, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও দি ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আমিনুল হক শামীম, চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি শংকর সাহা, জেলা মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব মাহবুবুর রহমান, সহ-সভাপতি শ্যামল দত্ত, কোচ বিভাগের সম্পাদক সোমনাথ সাহা প্রমুখ।

ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিনের দাবি, পরিবহন মালিক শ্রমিকদের নিজস্ব জরিপে দেখা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রতি মিনিটে ৭টি যাত্রীবাহী গাড়ি বিভিন্ন রোড থেকে গাজীপুর হয়ে ঢাকা অভিমুখে চলাচল করে। হিাব অনুযায়ী ঘণ্টায় যাতায়াত করছে ৪২০টি গাড়ি। ২৪ ঘন্টায় চলাচল করছে ১০ হাজার ৮০টি গাড়ি। রাস্তা খারাপের কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ হয় ২০ লিটার বেশি। হিাব অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৮০ গাড়িতে ২ লাখ এক হাজার ৬০০ লিটার তেল লাগে। যার অর্থমূল্য এক কোটি ৬১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। প্রতিদিন মালিকদের তেল বাবদ নষ্ট হচ্ছে ওই টাকা। দিন দিন পরিবহন শিল্পের এই অতিরিক্ত খরচে মালিকরা তাদের গাড়ির কিস্তিসহ মেরামত যন্ত্রাংশ, টায়ার কোনটাই পরিচালনা করতে পারবে না। গাজীপুর-ঢাকার রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে আমদানি-রপ্তানিসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল বহনে ব্যাপক বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি ও দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিও রোধ করা যাচ্ছে না। তাই পরিবহন শিল্পসহ সকল ব্যবসায়ীমহলের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে ১৬ জানুয়ারি থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here