বিরামপুরে স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা, আলামত নষ্টের অভিযোগে লাশ উত্তোলোন

0
260

বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বিরামপুরে আত্মহত্যার প্ররোচনা ও দ্রুত আলামত নষ্টের অভিযোগে জেসমিন আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। এর আগে গত বুধবার দুপুরে উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের পলিখিয়ার মামুদপুর গ্রামে ওই গৃহবধুকে দাফন করা হয়েছিলো।

(৩১আগস্ট) মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের পলিখিয়ার মামুদপুর গ্রাম থেকে ওই গৃহবধুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। নিহত গৃহবধু জেসমিন আক্তার ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যুতের স্ত্রী। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার এর উপস্থিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায় যে, দীর্ঘ ১২ বছর আগে উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের চকশুলবান গ্রামের জেসমিন আক্তারের সাথে একই উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের পলিখিয়ার মামুদপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যুতের সহিত বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। সোমবার দুপুরে নিজ বাড়িতে ওঠানে তুচ্ছ ঘটনায় স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজসহ বেধড়ক মারপিট করতে থাকে স্বামী আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যুৎ।

এঘটনার কিছুক্ষন পরে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে কিটনাশক পান করে জেসমিন আক্তার। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই দিন সন্ধ্যায় বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর একদিন পর বুধবার ভোরে জেসমিন আক্তারের মৃত্যু হয়। বিষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে বুধবার দুপুরে আলামত নষ্ট করার উদ্দেশ্যে জেসমিন আক্তারের লাশ দ্রুত দাফন করা হয়।

এদিকে গত(২৬আগষ্ট)আত্মহত্যার প্ররোচনা এবং দ্রুত আলামত নষ্টের অভিযোগে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ হামিদুর রহমান বাদী হয়ে বেশ কয়েকজনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিহত জেসমিন আক্তারের স্বামী আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যুৎকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে দিনাজপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

জানতে চাইলে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচনা এবং দ্রুত আলামত নষ্টের অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন,বিষয়টি তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি নিয়েই আজ লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। লাশটি ময়না তদন্ত শেষে আবারো কবরস্থ করা হবে।

এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার ,সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ওহিদুন্নবী, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সুমন কুমার মহন্ত, তদন্ত (ওসি) মতিয়ার রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here