স্তন্যপান করলে শিশুদের শরীরে তৈরি হয় অ্যান্টিবডি

0
238

খবর৭১ঃ মায়ের বুকের দুধের কোনও বিকল্প নেই। শিশু জন্মের পর প্রথম ৬ মাস তাকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো খুব দরকারি। কারণ প্রথম ৬ মাস মায়ের বুকের দুধ থেকেই শিশু যাবতীয় পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকে। সম্প্রতি শিশুদের সুরক্ষার দিকটি নিয়ে বিভিন্ন গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেখানে বলা হয়েছে সদ্যোজাত দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে স্তন্যপান একমাত্র পথ।

শিশুর বেড়ে ওঠায় খুব উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। করোনাকালের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় পর্যায়ে শিশুদের নিয়ে চিন্তা বৃদ্ধির কারণ হয়নি। কিন্তু তৃতীয় ঢেউতে শিশুদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এমন পূর্বাভাস রয়েছে। তাই শিশুদের সুরক্ষার দিকটি নিয়ে বিভিন্ন গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেখানে বলা হয়েছে সদ্যোজাত দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে স্তন্যপান একমাত্র পথ। সারাজীবনের সুরক্ষা পায় শিশুরা মায়ের দুধ পান থেকেই।

মা এবং শিশুর উভয়ের জন্যই বুকের দুধ খাওয়ানোর বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। যার ফলে দুজনেই আজীবন সুরক্ষিত থাকেন। সবচেয়ে বড় কারণ এটি প্রাকৃতিক উপাদান। বুকের দুধে মায়ের সঠিক মাত্রায় ম্যাক্রো এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, উৎসেচক, প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং অ্যান্টিবডি থাকে। মায়ের প্রতিরোধ ব্যবস্থা সাধারণ জীবাণুগুলির বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডিগুলো প্রস্তুত করে এবং এই অ্যান্টিবডিগুলি মায়ের দুধে থাকে। তাই সারা জীবনের জন্য অসুস্থতা থেকে রক্ষা করার অ্যান্টিবডি থেকে যায় শিশুর দেহে।

যারা শিশুদের স্তন্যপান করান সেই সকল মায়েরা দ্রুত ওজনও কমিয়ে ফেলেন। গর্ভাবস্থায় যে ওজন লাভ করে থাকেন তা অনেকটাই কমে যায় স্তন্যপান করানোর ফলে। প্রতিদিন ৫০০ ক্যালোরি অতিরিক্ত খরচ হয় এই প্রক্রিয়ায়। স্তন্যদানকারী মায়েদের রক্তাল্পতা এবং মূত্রনালীর সংক্রমণের সম্ভাবনাও কম থাকে। যে সকল মহিলারা বুকের দুধ পান করান তাদের স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকিও কম হয়।

মায়ের সঙ্গে শিশুর এই যোগ দুজনের হরমোনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে ‘হ্যাপি হরমন’ ক্ষরণ হয় যা শিশুর বেড়ে ওঠায় খুব উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। তাই পরিবারের আর্থিক অবস্থা যাই হোক না কেন, স্তন্যপান করানো ফর্মুলা ফিডের চেয়ে কম ব্যয়বহুল এবং নিরাপদ।

চিকিৎসকের মতে, শিশুদের স্তন্যপান করলে ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসের মত রোগ হয় না। সর্দি, নিউমোনিয়ার মতো অসুখও দূরেই থাকে। কানের সংক্রমণ এবং ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিসের মতো সংক্রমণ এবং চোখের সংক্রমণের সম্ভাবনা কম রয়েছে স্তন্যপান করে যে শিশুরা। অ্যালার্জি, হাঁপানি, একজিমা, স্থূলত্ব, শৈশব ডায়াবেটিসের সম্ভাবনাও কম থাকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here