শততম টি-টোয়েন্টিতেও জিতল বাংলাদেশ

0
405

খবর৭১ঃ হারারে ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে সফররত বাংলাদেশ। আর এই জয়ের মাধ্যমে ওযানডে এবং টেস্টের পর ক্রিকেটের সবচেয়ে ক্ষুদ্র সংস্করণেও জয় তুলে নিল টাইগাররা।

২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর শততম ওয়ানডে ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে আফতাব আহমেদের ৬৭ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২২৯ রানে থেমে যায় হাবিবুল বাশারদের ইনিংস। কিন্তু সেটা তুলতেই ব্যর্থ ভারত। মাত্র ২১৪ রানেই গুটিয়ে তাদের ইনিংস।

অন্যদিকে শততম টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা। ২০১৭ সালের ওই ম্যাচে ৪ উইকেটে হারিয়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্বকারীরা। প্রথম ইনিংসে ৪৯ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৮২ রান তুলে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল খান।

আর আজ শততম টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের দেয়া ১৫৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে নেমে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার এবং নাঈম শেখের ব্যাটে দুরন্ত সূচনা করে সফররত বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটিতে দুজনের ১০২ রানের পার্টনারশিপে জয়ের সুবাসই পায় টাইগাররা।

দুই ওপেনারই ফিফটি তুলে নেন। ৪৫ বলে ৫০ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন সৌম্য। তার ইনিংসটি চারটি চার এবং দুটি ছয়ে সাজানো। দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ১৫ রান।

আর তৃতীয় উইকেট জুটিতে নাঈম এবং সোহান মিলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটির পর ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন নাঈম শেখ। আর নুরুল হাসান সোহান মাঠ ছাড়েন ১৬ রানে।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন তাদিওয়ানাসে মারুমানি।

তবে দ্বিতীয় উইকেটে দুর্দান্ত এক পার্টনার গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান ম্যাধেভেরে এবং চাকাভা। ম্যাধেভেরে ব্যক্তিগত ২৩ রানে ফিরলে পরের উইকেট জুটিটি আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে। মাত্র ১০ ওভারে ৯০ রান তুলে বড় সংগ্রহের দিকেই এগোচ্ছিল স্বাগতিকরা।

কিন্তু শরিফুর ইসলামের করা ম্যাচের ১১তম ওভারে দুই উইকেটে পতন ঘটলে চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ওই ওভারের প্রথম বলে পেছনে তুলে খেলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন চাকাভা। কিন্তু ১ রানের জন্য দৌঁড় দিলে পেছন থেকে বাংলাদেশি উইকেট সোহান ছুঁড়া বল সরাসরি উইকেটে আঘাত আনে। রান আউট হন চাকাভা। আউট হওয়ার পূর্বে করেন ৪৩ রান। একই ওভারের পঞ্চম বলে শূন্যরানেই কটবিহাইন্ড হন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজাও।

১২তম ওভারে এবার উইকেটের দেখা পান দলের পার্টটাইম বোলার সৌম্য সরকার। তারিসাই মুসাকান্দাকে এলবিডব্লিউ ফাঁদে ফেলেন তিনি। ১৩তম ওভারে আবারো উইকেট লুফে নেন শরিফুল। ২২ বলে ৩৫ রান করা ডিওন মেয়ার্স হয়েছেন ক্লিন বোল্ড।

শেষদিকে লুক জংউইর সুবাদে ইনিংসে দলীয় স্কোর দেড়শ ছাড়িয়ে যায়। জংউই করেন ১৮ রান। এছাড়া ৮ রানে মুজারাবানি এবং ৪ রানে রায়ান বার্ল আউট হন।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শরিফুল ইসলাম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here