ঈদকে সামনে রেখে চিলমারী-রৌমারী ও রাজীবপুর নৌ-যাতায়াতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

0
434

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী ও রাজীবপুর নদীপথে যাতায়াতে করোণার লকডাউনে ঘাটের নৌকার নিয়মিত চলাচল বন্ধ করে যাত্রীদের নিকট অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে নৌকা চলাচল অব্যাহত রাখলেও ঈদকে সামনে রেখে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন নৌ-ঘাট ইজারাদার। জনপ্রতি ভাড়া ৫০ টাকা হলেও চিলমারী থেকে রৌমারী কিংবা রৌমারী থেকে চিলমারী আসার পথে জনপ্রতি নৌকা ভাড়া ২০০/- টাকা নেয়া হচ্ছে বলে জানান যাত্রীরা । সেই সাথে একটি মটর সাইকেলের নৌকা ভাড়া ও নৌকা হতে উঠা-নামা করতে যাত্রীদের ৩০০/- টাকা দিতে হচ্ছে। যা আগের তুলনায় ৩ গুন বেশী।
রেল ও বাসের টিকিট না পাওয়ায় কুড়িগ্রামের রাকিন সস্ত্রীক মটর সাইকেল যোগে ঢাকা থেকে রৌমারী ঘাটে এসে নৌকা যোগে চিলমারী পোঁছাতে নৌকা ভাড়া ৭০০/-টাকা দিয়েছেন। এমনি উলিপুরের সাজু, রাজারহাটে রুহুল আমিন, নাগেশ্বরীর আমিনুল, বজরার রেজাউল করিমসহ সকল যাত্রীই জনপ্রতি ২০০/- টাকা ভাড়া দিয়েছেন।
যাত্রীগণ অভিযোগ করেন নৌকা পারাপারে রৌমারী থেকে চিলমারী ২০০/- টাকা ভাড়া এটা যেন মড়ার উপর খাড়ার ঘা। তবুও করোনার ক্লান্তি দূর করে ঈদের আনন্দ পরিবার পরিজনদের সাথে ভাগা-ভাগি করা জন্য তাদের আসা। ঘাট ইজারাদারের লুপু জানান লকডাউনের কারণে এখন নৌকার সিরিয়াল নেই। ১০/১২ জন একটা নৌকা ভাড়া নিয়ে যাওয়ার ফলে ভাড়া একটু বেশী। তবে রৌমারী থেকে চিলমারী ঘাটে আসা নৌকায় গত শনিবার দেখা মিলেছে উল্টো চিত্র। প্রায় শতাধিক যাত্রি নিয়ে স্বাস্থ বিধি না মেনেই চলাচল করছে যাত্রিবাহী নৌকা। সারাদেশে সকল ধরনের যানবাহন চললেও ঘাটে চলছে না সিরিয়াল নৌকা। নতুন ফাঁদ পেতে অতিরিক্তি টাকা আদায় করছেন অসাধু ঘাট ইজারাদাররা ।
এদিকে নৌ পথে যাতায়তকারীরা নৌকার অতিরিক্ত ভাড়া থেকে বাচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় সরকারী কোন নিয়ম নাই, আমি খবর নিয়ে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here