খাবার ধী‌রে ধী‌রে চি‌বি‌য়ে খে‌লে ওজন ক‌মে!

0
268

খবর৭১ঃ শরীরের অতিরিক্ত ওজনের জন্য অনেকে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। একটুতেই হাঁপিয়ে ওঠেন। শরীরে বাসা বেঁধেছে নানান রোগ ব্যাধি। সমস্যার শেষ নেই। অতিরিক্ত ওজনের নারী-পুরুষদের হরহামেশাই এমন নানা সম্যসায় পড়তে দেখা যায়।

বাড়তি ওজন মানেই বাড়তি টেনশন। ডায়েট, সকালে-বিকেলে ব্যায়াম বা ঘাম ঝরিয়ে কতভাবেই না মানুষ ওজন কমাতে চান। তবে আস্তে আস্তে সময় নিয়ে খান। বেশি সময় নিয়ে খেলে ক্ষুধা কমে যায়। ফলে কম খাওয়া হয়। একবারে বেশি খাবেন না। একবারে বেশি খেলে শরীরে দ্রুত চর্বি জমে, কেননা খাবার হজম হয় না ভালভাবে। সারাদিনে অল্প পরিমাণে ৪/৫ বার খান।

সুস্থ থাকতে ও ওজন হ্রাসে, ডায়েট প্রধান ভূমিকা পালন করে। তবে কী খাচ্ছেন, শুধুমাত্র তার উপরেই নয়, বরং কীভাবে খাচ্ছেন অর্থাৎ খাওয়ার গতি, সেটাও সুস্থ থাকতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আস্তে আস্তে খেলে অতটাও ওজন বাড়ে না, পাশাপাশি আরও কয়েকটি উপকারও হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা দ্রুত খায় তাদের ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি থাকে। ধীরে ধীরে খাওয়া ব্যাক্তিদের তুলনায় দ্রুত খাওয়া ব্যাক্তিদের স্থুলত্ব হওয়ার সম্ভাবনা ১১৫ শতাংশ বেশি থাকে। প্রায় ৪,০০০ মধ্যবয়স্কদের নিয়ে করা একটি সমীক্ষা অনুসারে, যারা খাবার দ্রুত শেষ করতে ঝুঁকেন তাদের শরীরের ওজন সবচেয়ে বেশি।

ধীরে ধীরে খাওয়া ওজন হ্রাসের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরি! যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করেন, তারা সাধারণত তাদের প্রতিদিনের ক্যালোরি গ্রহণের উপর বেশি নজর রাখেন। ভাল করে চিবিয়ে খাওয়া ক্যালোরি কমাতে সাহায্য করতে পারে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার থেকেও দূরে রাখে!

চিবিয়ে আস্তে আস্তে ভাল করে খাবার খেলে অনেক বেশি পরিমাণে পুষ্টি শোষণ করতে পারে শরীর। আর, বেশি পুষ্টি তৃপ্তির অনুভব বাড়ায় এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকে আমাদের দূরে রাখে।

স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমায়। তাড়াহুড়ো করে খেলে উদ্বেগের পরিমাণ বাড়ে। তবে খাবার ভাল করে চিবিয়ে খেলে তৃপ্তি হয়, যা আমাদের মনকে শান্ত এবং সুখী করে তোলে। এটি ইতিবাচক উপায়ে স্ট্রেস লেভেলকে প্রভাবিত করে। এতে ওজন বৃদ্ধি হয় না।

বেশি করে চিবিয়ে খাবার খেলে হজম ভাল হয়, যা অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।

ধীরে ধীরে খাওয়ার মানে হল ভাল করে চিবিয়ে খাওয়া। তাতে ক্যালোরি কমায়। এটি আপনার সারাদিনে খাওয়া মোট ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং কমাতে সহায়তা করতে পারে। আর, বেশি চিবিয়ে খেলে মুখের ব্যায়াম হয়, ফলে কিছুটা হলেও মেদ কমে।

খাবার গলা দিয়ে নামানোর আগে ভালোভাবে চিবানোর অভ্যাস গড়তে হবে। এতে স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন পুরোপুরি। খাওয়ার গতিও কমবে। হজমের সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা কমবে।

সাধারণত আপনি যতবার চিবোন তা লক্ষ্য করুন এবং ধীরে ধীরে চিবানোর সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করুন।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান। তবে এই খাবারগুলো বেশি করে চিবিয়ে খেতে হবে। ডায়েটে ফাইবার যুক্ত হওয়ার বেশ কয়েকটি সুবিধা রয়েছে যেমন এটি অন্ত্রকে স্বাস্থ্যকর রাখে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here