ঠাকুরগাঁওয়ে চিকিৎসা শেষে শিশুকে নিয়ে ১০ কি: মি: পায়ে হেটেঁ বাড়ি ফিরছে অসহায় মা

0
343

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ করোনা সংক্রমন বৃদ্ধির কারণে লকডাউন চলছে সারাদেশের ন্যায় ঠাকুরগাঁওয়ে তার সাথে মুশলধারে বৃষ্টি হচ্ছে সকাল থেকে। এই বৃষ্টির মধ্যেই সন্তানকে নিয়ে হেটেঁ যাচ্ছেন মা। মা এর কাছ থেকে শিশুকে কোলে নেয় দাদি। দাদির মাথায় ছাতা ধরে আছে শিশুর পিতা। এভাবে হেটেঁ ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে ১০ কি:মি দুরে শহরের রোড এলাকায় যাচ্ছেন শিশুটির পরিবার। এ যেন চরম ভোগান্তি শিশুটির পরিবারটির।

কাছে গিয়ে শিশুটির পরিবারের সাথে কথা বললে জানাযায়, শিশুটি গত ৭দিন থেকে অসুস্থ হয়ে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিল। আজ বৃহস্পতিবার শিশুটি সুস্থ হওয়ায় হাসপাতাল কতৃপক্ষ রিলিজ দেয় তাদেরকে। এ অবস্থায় লকডাউন ও মুশলধারে বৃষ্টিতে বাহিরে কোন যানবাহন না থাকায় উপায় না পেয়ে শেষে পায়ে হেটেঁ রাওনা দেয় পরিবারটি।

শিশুটির দাদির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, নাতি সুস্থ হওয়ায় আর হসপিটালে আমরা থাকি নাই। কিন্তু বের হয়ে দেখি রাস্তায় কোন রিক্সা বা অটো নেই। আর তার সাথে বৃষ্টি হচ্ছে। হসপিটালে করোনার ভয় বেশি তাই বাধ্য হয়ে পায়ে হেটে রাওনা দেই বাড়ির উদ্দেশ্যে। কিন্তু এতদুর পথ পায়ে হেটে কষ্ট হচ্ছে তাই কখনো শিশুটির মা ওকে কোলে নিয়ে কখনো আমি কোলে নিয়ে বাড়ির দিকে হাঁটতেছি।

শিশুর্টি দাদা জানান, লকডাউন এর কারণে আমরা সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টে রয়েছি। লকডাউন আমাদের জন্য মরার উপর খরার ঘা। এমনেই তো বৃষ্টি আবার লকডাউন কিভাবে চলবো আমরা বুঝতে পারতেছি না। নাতি সুস্থ হয়েছে তাকে নিয়ে হেটেঁ কষ্ট করে বাসায় যেতে হচ্ছে। গাড়ি ভাড়া দেওয়া মত সাধ্য আমাদের নেই। আর রিক্সা, অটো তো চলছেই না। যত কষ্ট সব গরিব মানুষের।

শিশুটির মা শরিফা খাতুন বলেন, আমার সন্তানকে অনেক কষ্ট করে সুস্থ করেছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া সন্তান সুস্থ হয়েছে। এখন বাসায় যাবো কোন যানবাহ্ন নেই তাই বাধ্য হয়ে পায়ে হেটেঁই যেতে হচ্ছে। এসব কষ্ট আমাদের জীবনে সহ্য হয়ে গেছে। গরিব হয়ে জন্ম নিয়েছি তাই কষ্ট সহ্য করতে হবে মেনে নিয়েছি আমরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here