জুলাই থেকে বন্ধ হবে যেসব মোবাইল সেট

0
380

খবর ৭১: সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামি জুলাই থেকে যেসব মোবাইল সেট বন্ধ হবে তা জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বিটিআরসির জনসংযোগ কর্মকর্তা জাকির হোসেন খান বলেন, যেসব ভ্যান্ডর বিটিআরসির অনুমোদন নিয়ে হ্যান্ডসেট আমদানি করে বাজারজাত করেছেন, তাদের আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) নম্বর আমাদের ডেটাবেজে সংযোজন আছে। সেই সেটগুলো সচল থাকবে। আর যেসব সেট বাজারে আছে অথচ আমাদের ডেটাবেজে আইএমইআই নম্বর সংযোজন নেই, আমাদের সিস্টেম সেই সেটগুলোকে সক্রিয় করতে দেবে না। আমরা এ ক্ষেত্রে গ্রাহকের হাতে থাকা সেটগুলো বিশেষ ব্যবস্থায় সচল রাখার ব্যবস্থা নিয়েছি, যাতে গ্রাহক পর্যায়ে ভোগান্তি তৈরি না হয়। তবে দোকানে থাকা (অবৈধ) সেটগুলো আর সচল হবে না।

এর আগে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআরসি জানায়, বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত গ্রাহকের হ্যান্ডসেটগুলো ৩০ জুনের মধ্যে বিটিআরসির সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। ফলে ১ জুলাই থেকে এ সেটগুলো বন্ধ হবে না। তাই সবাইকে এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করা হলো।

মোবাইল ফোন গ্রাহকের হ্যান্ডসেটের নিরাপত্তা বিধান ও সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে জুলাই মাস থেকে অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল বিটিআরসি।

এ প্রক্রিয়ায় অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলো বন্ধ করার কথা বলেছিল সংস্থাটি। তবে বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার হিসেবে পাওয়া মোবাইল সেটগুলোকে নিবন্ধনের সুযোগ দেয়া হবে। জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেটের বিক্রয়, আমদানি ও বাজারজাতকরণে নিরুৎসাহিত করতে এটি বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি।

একই আইএমইআই নম্বরের সেটগুলোর তালিকা করে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চালু থাকবে। তারপর সরকারের নির্দেশনায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আর পুরোনো সেটের বিষয়ে বিটিআরসির সিস্টেমে ভেরিফাই করে চালু করা হবে।

বিদেশ থেকে পাওয়া উপহারের সেটগুলোকে নিবন্ধনের সুযোগ দেয়া হবে। তারা কাগজপত্র দেখিয়ে নিজেই ওয়েবসাইট, মোবাইল ফোন অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার থেকে নিবন্ধন করে নিতে পারবেন। অবৈধ হ্যান্ডসেটের ব্যবহার ঠেকাতে গত বছরের ২৫ নভেম্বর দেশীয় আইটি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সিনেসিস আইটির সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই করে বিটিআরসি।

বিদেশ থেকে নিয়ে আসা হ্যান্ডসেট গ্রাহকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এনইআইআরের ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে ক্রয়ের রশিদ যাচাই সাপেক্ষে এবং যেসব সেট উপহার হিসেবে দেশে এসেছে তা যথেষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে এনইআইআরে সক্রিয় করা হবে।

বিটিআরসি জানায়, এনইআইআর সিস্টেম সম্পন্ন হলে সরকার প্রতি বছর ৪ হাজার কোটি টাকার মতো বাড়তি রাজস্ব পাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here