খবর৭১ঃ রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও জিগাতলা এলাকায় মাথায় হেলমেট ও মুখে কাপড় বেঁধে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে একদল যুবক। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায়। কোথাও কোথাও ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ও বহিরাগতদের হামলার ছবি তুলতে গিয়ে তারা হামলার শিকার হন।
রবিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে এই হামলা চালায় একদল যুবক।
হামলায় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আহমেদ দীপ্ত, বার্তা সংস্থা এপির ফটোসাংবাদিক এ.এম. আহাদ, জনকণ্ঠের জাওয়াদ, বণিক বার্তার পলাশসহ বেশ কয়েকজন আহন হন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আহমেদ দীপ্ত’র ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ধানমন্ডি ১ (আড়ংয়ের সামনে) রড দিয়ে আঘাত হয়েছে তাকে। তার শরীরে তিনটি সেলাই দেয়া হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আহমেদ দীপ্ত ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এবং ফটো সাংবাদিক আহাদও একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আহাদ।
নাগরিক টিভি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডির সামনে থাকা নাগরিক টিভির একটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায় অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজন যুবক। হামলায় আহত হয়েছেন গাড়িতে থাকা চ্যানেলটির ক্যামেরাপারসন রিপন হাসান, গাড়ি চালক গোলাম মোর্শেদ এবং নিজস্ব প্রতিবেদক আবদুল্লা সাফী।
নাগরিক টেলিভিশনের প্রতিবেদক আবদুল্লা সাফী ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘আমাদের গাড়ি সিটি কলেজের সামনে ইউটার্ন নিচ্ছিল, তখন একদল যুবক এসে আমাদের গাড়িতে হামলা করে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, হামলাকারীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। হামলাকারীর অনেকে হেলমেট পরা, তাদের হাতে রাম দা ছিল।
সাংবাদিকরা হামলাকারীর ছবি তুলে গেলেও বাধা দেয় হামলাকারীরা। সাংবাদিকেরা এসময় মোবাইল ফোনে ছবি তুলতে গেলে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।
এমন হামলা সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাংবাদিকরা। তারা প্রশ্ন রাখছেন, গণমাধ্যমকে কেন টার্গেট করা হচ্ছে? গেল দুই-তিনদিন ধরে গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। ভেঙে ফেলা হচ্ছে ক্যামেরা, গাড়ি। করা হচ্ছে মারধরও।
ডিএমপির রমনা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘হামলাকারীদের খোঁজা হচ্ছে। হামলার সময় যদি তথ্য দেয়া হতো তাহলে তাদের আটক করা যেতো।’
খবর৭১/এসঃ