হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতাদের খালাস পাওয়ায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

0
365

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: ২০ বছর পর শরীয়তপুরে আওয়ামীলীগ নেতা ও জজকোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ও তার ভাই মনির মুন্সীর হত্যা মামলা রায় ঘোষণা করেছে আদালত। রবিবার (২১ মার্চ ২০২১) এ রায়ে ৬ জনকে ফাঁসি, ৪ জনের যাবজ্জীবন এবং ৩ জনকে ২ বছর করে স্বশ্রম কারাদন্ড প্রদানের আদেশ করেছেন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত হোসাইন। এ মামলায় ৪০ জন আসামীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। এদিকে, অনেকেই ন্যায় বিচার পাওয়ায় বিচার বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। এছাড়াও বেকোসুর খালাসপ্রাপ্তদের শুভাকাঙ্খী, আত্মীয়-স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীরা সন্তোষ প্রকাশ করে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক, সদস্য, আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য সৈয়দ হেমায়েত হোসেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক, সদস্য, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য আক্তারুজ্জামান জুয়েল ওই মামলার রায়ে বেকোসুর খালাসপ্রাপ্ত হওয়ায় তাৎক্ষণিক রবিবার (২১ মার্চ) বিকালে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও নড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক ভিপি মামুন মোস্তফার নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল ও মিস্টি বিতরণ করা হয়। এসময় দলীয় বিভিন্ন স্তরের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও ওই দুই নেতার নিজ জন্মস্থান নড়িয়ার রাজনগর ইউনিয়ন, শরীয়তপুর, ঢাকাসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে সন্তোষ প্রকাশ করে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, আওয়ামীলীগ নেতা ও জজকোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ও তার ভাই মনির মুন্সীর হত্যা মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিনাদোষে ২০ বছর নানান নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রাণ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সোনালী অতীত সৈয়দ হেমায়েত হোসেন ও আক্তারুজ্জামান জুয়েল। তারা নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২১ মার্চ আদালত তাদের বেকোসুর খালাস দিয়েছে। এই রায়ে প্রমাণিত হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here