র‌্যাবে সাহেদের বিরুদ্ধে ১৪০ অভিযোগ

0
397
র‌্যাবে সাহেদের বিরুদ্ধে ১৪০ অভিযোগ

খবর৭১ঃ করোনা টেস্টের নামে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে প্রায় দেড়শ অভিযোগ পেয়েছে র‌্যাব। এসব অভিযোগের বেশির ভাগ টাকা আত্মসাৎসংক্রান্ত। বিভিন্ন সময় চাকরির প্রলোভন এবং বদলির আশ্বাসে তিনি এসব টাকা নিয়েছিলেন। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালে বাড়তি বিলেরও বেশকিছু অভিযোগ র‌্যাবের কাছে এসেছে।

এদিকে মোবাইলের মাধ্যমে র‌্যাবের পাওয়া ৩৭টি অভিযোগ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সাহেদের কাছে অভিযোগকারীরা চার কোটি ৩০ লাখ টাকা পাবেন। আর র‌্যাব বলছে, তারা মোবাইল, ইমেইলের মাধ্যমে সম্প্রতি সাহেদের বিরুদ্ধে দশ কোটি টাকার প্রতারণা অভিযোগ পেয়েছেন।

রবিবার বিকালে এসব তথ্য জানিয়েছে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ। তিনি বলেন, ‘সাহেদ করিমের হাসপাতালে অভিযানের পর তার বিভিন্ন অপকর্ম বেরিয়ে আসে। র‌্যাবের কাছে তার বিরুদ্ধে ৫৭টি মামলার তথ্য আছে। বুধবার সাহেদকে গ্রেপ্তারের পর তার মাধ্যমে হয়রানির শিকার হয়েছেন এমন ভুক্তভোগীদের তথ্য জানতে একটি ‘হটলাইন’ নম্বর খোলা হয়। সেখানে এসএমএস এবং কল করে অনেকে অভিযোগ দিছেন। আবার ইমেইলের মাধ্যমেও অনেকে অভিযোগ করেছেন। সেই সংখ্যা বিবেচনা করে আজ পর্যন্ত মোট অভিযোগ পড়েছে ১৪০টি। এর মধ্যে ফোন কলের মাধ্যমে পাওয়া গেছে ১২০টি অভিযোগ। এছাড়া ইমেইল-এর মাধ্যমে ২০টি অভিযোগ এসেছে।’

র‌্যাব মুখপাত্র আরও বলেন, ‘সাহেদের অভিযোগগুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি রয়েছে চাকরির আশ্বাসে টাকা নেয়া। এছাড়া বদলির সুপারিশ করবেন এ জন্যও টাকা নিয়েছেন। পাশাপাশি রড, সিমেন্ট, বিটুমিলের সাপ্লাইয়ের কাজের আশ্বাসে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।’

‘এর বাইরেও রিজেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসার নামে অতিরিক্ত বিল আদায় করা হয়েছিল। সাহেদ সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার খবরও আমরা পেয়েছি। তাছাড়া রিকশা-ভ্যানের ভুয়া লাইসেন্স দিয়েও মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সে দশকোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আদায় করেছেন।’

এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের এমডি মাসুদ পারভেজ ও রিজেন্ট চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের একটি অংশ বিদেশ থেকে এসেছে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘সাহেদের অভিযোগের তথ্য জানাতে আরও কিছুদিন হটলাইন নম্বর খোলা থাকবে।’

করোনার এই মহামারির সময় রিজেন্ট হাসপাতালের করোনা টেস্ট না করে ফলাফল দিত। এছাড়া করোনা টেস্টের জন্য চার হাজার করে টাকাও নিতেন। এভাবে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়েছেন। গত ৬ জুলাই উত্তরা ও মিরপুরে রিজেন্ট হাসপাতালে গিয়ে এসব অনিয়ম পাওয়া যায়। এরপর থেকে সাহেদ পলাতক ছিলেন। বুধবার ভারতে পালিয়ে যাবার সময় র‌্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here