যাবজ্জীবন চায় রাষ্ট্রপক্ষ, খালেদার আইনজীবীদের আদালত বর্জন

0
410

খবর৭১ঃ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আদালতের দণ্ডের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের করা আপিল এবং কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে করা আবেদনের দুদক এবং রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ খালেদা জিয়ার যাবজ্জীবন সাজা চেয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি হয়। শুনানিতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান ও রাষ্টপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন ।

তবে আপিল শুনানি মুলতবির আবেদন খারিজ করায় আদালত বর্জন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। শুনানির প্রথমেই খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘গতকাল মামলার অর্থের উৎসের বিষয়ে আপনারা যে আদেশ দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাব।’

জবাবে আদালত বলেন, ‘আপনারা আপিল বিভাগে যেতে পারেন।’ এরপর এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেন।’

জবাবে আদালত বলেন, ‘মুলতবির আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হলো।’ এ সময় এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‌‘সে ক্ষেত্রে আমরা শুনানিতে অংশগ্রহণ করছি না। আমরা শুনানি থেকে বিরত থাকছি।’

এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালত বর্জন করেন। এ সময় এ জে মোহাম্মদ আলী ছাড়াও খালেদা জিয়ার আইনজীবী আবদুর রেজাক খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, আমিনুল ইসলাম, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, মো. আখতারুজ্জামান প্রমুখ আদালত থেকে বেরিয়ে আসেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালত থেকে বের আসার পর প্রথমে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান শুনানি করেন। তারপর রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন। শুনানিতে তারা এ মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা বাদ দিয়ে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় যাবজ্জীবন সাজা দেয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।

দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হলে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামীকাল বুধবার (২৪ অক্টোবর) দিন ধার্য করেন আদালত।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার এক রায়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেন রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশীবাজারে অস্থায়ী ঢাকার ৫ নং বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। নানা রোগে আক্তান্ত হওয়ায় বর্তমানে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here