মোটর শ্রমিকদের অবৈধ হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে সৈয়দপুরে ও মানববন্ধন

0
175

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি :
নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ওয়াপদা মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে সিএনজি ও অটোরিকশা চলাচলে বাধা প্রদানসহ মোটর মালিক ও শ্রমিকদের অবৈধ হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ জুন) বেলা ১১ টায় শহরের স্মৃতি অম্লান চত্বরে সৈয়দপুর উপজেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকলীগ ওই কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধনে বক্তব্য বলেন সৈয়দপুর উপজেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকলীগের সভাপতি ও সৈয়দপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিন হোসেন, সহ-সভাপতি রশিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সংগঠনের সদস্য মোবারক হোসেন আবু হায়াত শাহ সাগর প্রমুখ। এতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য বলেন

পৌর প্যানেল মেয়র সাবিয়া সুলতানা ও ওয়ার্কাস পার্টির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক রুহুল আলম মাষ্টার।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে শহরের শেরে বাংলা সড়কের জাতীয় পার্টি অফিস সংলগ্ন স্থানে সিএনজি স্ট্যান্ড ছিল। সম্প্রতি পাশেই পোস্ট অফিস মোড়ে স্ট্যান্ড করে সৈয়দপুর-চিলাহাটি রুটে বাস সার্ভিস চালু করে নীলফামারী জেলা মোটর মালিক সমিতি। এতে শহরের ভেতরে স্ট্যান্ড করা এবং পাড়া মহল্লার সড়ক দিয়ে বাস চলাচল নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বন্ধের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখিসহ মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোখছেদুল মোমিন। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জনপ্রতিনিধিরাসহ মোটর মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয় অনুযায়ী সৈয়দপুর শহরের ভেতরে স্থাপন করা বাস স্ট্যান্ড ও সিএনজি অটোস্ট্যান্ড সরানো হয়। সিদ্ধান্তে বলা হয় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে বাস এবং ওয়াপদা মোড় থেকে সিএনজি স্ট্যান্ড করে চলাচল করবে। পরবর্তীতে ওয়াপদা মোড় থেকে সিএনজি চলাচল শুরু করতে গেলে সেখানকার মোটর শ্রমিকরা বাধা দেয়। এরই প্রতিবাদ করলে তারা (শ্রমিকরা) হামলা চালিয়ে সিএনজি ভাংচুরসহ এর চালকদের মারপিট করে। সেসময় খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন এসে বিরোধ মিটিয়ে দেয়। তারপরও ওয়াপদা মোড়ে সিএনজি রাখা, যাত্রী উঠানো ও চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে চলেছে মোটর শ্রমিকেরা। এতে হয়রানী ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সিএনজি ও অটো চালকরা।

তারা বলেন এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন সুরাহা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে আন্দোলন করতে হচ্ছে। এরপরও যদি সুষ্ঠু বিচার না করা হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন নেতৃবৃন্দ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here