মোঃ রাসেল মিয়া,মুরাদনগর, কুমিল্লা, প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুর গ্রামের প্রবাসীর কন্যা অন্তসত্ত্বা গৃহবধূ মুক্তা আক্তার এর হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীর বিচারের দাবীতে মঙ্গলবার সকালে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল এবং রাস্তা অবরোধ করা হয়।
জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুর গ্রামের প্রবাসী মো: জয়নাল আবেদিন এর কন্যা মুক্তা আক্তার (২৪) এর সাথে একই উপজেলার নবীপুর গ্রামের মো: কাজলের পুত্র কাউসার আহম্মেদ জয় (২৮) এর তিন বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ের কিছুদিন পর পর থেকে যৌতুক লৌভি কাউসার বিভিন্ন সময় মুক্তাকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। কাউসার সৌদি যাবার কথা বলে মুক্তার পিতার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা যৌতুক নেয়।
এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ফানিচার সামাগ্রী উপহারের নামে যৌতুক নেয়। কাউসার কোন কাজ কর্ম না করায় সংসারের চাকা সচল রাখতে মুক্তা নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ একটি গারমেন্সে চাকুরী করত এবং সিদ্ধিরগঞ্জের ২নং গেইটে ভাড়া বাসায় থাকত। গত বুধবার আবারো যৌতুকের জন্য মুক্তাকে চাপ প্রয়োগ করলে মুক্তা যৌতুক এনে দিতে পারবে না জানালে এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতান্ডার সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে রাতের আধানে যৌতুক লৌভি কাউসার মুক্তাকে গলাকেটে হত্যা করে ঘরের দরজায় তালাবন্ধ করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে শুক্রবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ তালাবন্ধ ঘর থেকে মুক্তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ময়নাতদন্ত শেষে মুক্তা লাশ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মুক্তার মা জোসনা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই কামরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। হত্যায় অভিযুক্ত নিহতের স্বামী কাউসারকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মুক্তার মা জোসনা বেগম জানান, বিয়ের পর থেকে কাউসার বিভিন্ন সময় আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য চাপ দিত। বিয়ের পর বিদেশের কথা বলে ৫ লাখ টাকা নেয় এবং বিভিন্ন সময় অনেক টাকা ও মালামাল নেয়। সে আমার মেয়েকে অনেক নির্যাতন করে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
উক্ত হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীর বিচারের দাবীতে মঙ্গলবার সকালে এলাকাবাসী ঢাকা-মুরাদনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ সময় বিক্ষোভকারীর মুক্তার স্বামী অভিযুক্ত কাউসারের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবী করে। খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হত্যাকারীর বিচারের আশ্যাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়। উক্ত বিক্ষোভে এলাকার শত শত এলাকাবাসী অংশ নেন।
খবর ৭১/ইঃ