নুসরাত হত্যাকাণ্ডঃ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওসি মোয়াজ্জেমের বিচার শুরু

0
496
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওসি মোয়াজ্জেমের বিচার শুরু
ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন।

খবর৭১ঃ

ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস শামস জগলুল হোসেন অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তার বিচার শুরু হলো।

আজ দুপুর ২টায় ওসি মোয়াজ্জেমকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তার পক্ষে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের শুনানি শেষে মোয়াজ্জেমের আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে ওসি মোয়াজ্জেমকে দোষী না নির্দোষ জিজ্ঞেস করলে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। পরে ট্রাইব্যুনাল আগামী ৩১ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।

গত ১৬ জুন হাইকোর্ট থেকে বের হওয়ার পর শাহবাগ এলাকা থেকে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ফেনীর সোনাগাজী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। সোনাগাজী থানা পুলিশ ওসিকে ১৭ জুন ট্রাইব্যুনালে হাজির করেন। ওই দিন মোয়াজ্জেমের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হলে ওই আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান ট্রাইব্যুনাল।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওসি মোয়াজ্জেমের বিচার শুরু
ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি।

এর আগে গত ২৭ মে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন এই ট্রাইব্যুনাল। আগের দিন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মোয়াজ্জেমের অপরাধসংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে নির্মমভাবে আগুনে পোড়ানোর আগে থানায় গেলে তার বক্তব্য ভিডিও করেন ওসি মোয়াজ্জেম। পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এ কারণে গত ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এই মামলা দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল পিবিআইকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৬, ২৯ ও ৩১ ধারায় মামলাটি করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই সদর দপ্তরের সিনিয়র এএসপি রিমা সুলতানা তদন্ত প্রতিবেদনে বলেন, রাফিকে যৌন নিপীড়নের ঘটনার পর তাকে থানায় জেরা করার দৃশ্য নিজের মোবাইল ফোনে ধারণ করে তা প্রচার করেন। ভিডিও ধারণ ও প্রচার করে ওসি মোয়াজ্জেম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।

মাদরাসার অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত ৬ এপ্রিল সকালে রাফির শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাফি মারা যান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here