জানুয়ারি থেকে ব্রিটিশদের ইউরোপে প্রবেশ নিষেধ

0
547
জানুয়ারি থেকে ব্রিটিশদের ইউরোপে প্রবেশ নিষেধ

খবর৭১ঃ

চুক্তি ছাড়া আগামী বছরের শুরু তথা পহেলা জানুয়ারি থেকে ব্রিটিশ নাগরিকদের ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে প্রবেশ নিষিদ্ধ হতে পারে।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে ব্রেক্সিট ট্রানজিশন পিরিয়ড। অর্থাৎ ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আর ইইউ’র অংশ থাকছে না ব্রিটেন। ফলে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে ব্রিটিশদের অবাধ যাতায়াতের সুবিধাও শেষ হতে চলেছে।

এ কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইইউর সঙ্গে ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনে বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্যে দুই পক্ষের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। তবে এই আলোচনাতেও চুক্তি সম্পাদনে ব্যর্থতার জোর সম্ভাবনা দেখছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

ব্রাসেলসে বৈঠকের পর বুধবার প্রথমবার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের চুক্তি না হওয়ার বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। খবর স্কাই নিউজ ও বিবিসির।

৩১ ডিসেম্বর থেকে ইইউ’র বাণিজ্যনীতি মেনে চলা বন্ধ করবে যুক্তরাজ্য। ফলে একটি কার্যকর চুক্তিতে পৌঁছার সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। বুধবার ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুল ফন ডেয়ার লাইয়েনের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তবে তাদের আলোচনার বড় কোনো অগ্রগতি ঘটেনি।

প্রকাশ্যে দুই পক্ষই যে যার অবস্থানে অটল রয়েছে। ইইউ প্রেসিডেন্ট ভন ডার লিয়েন সময় নষ্ট না করে অবিলম্বে আলোচনা শুরু করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। জনসন চুক্তির জন্য চেষ্টায় কোনো ত্রুটি না রাখার ওপর জোর দিয়েছেন।

তবে একাধিক ইইউ নেতা স্কষ্ট করে দিয়েছেন, যে ইইউ ত্যাগ করার পরেও সদস্য থাকার সুবিধা পেতে হলে ব্রিটেনকে কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে।

বুধবার সকালে বরিস বলেন, যে কোনো প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ইইউ-র চাপে ব্রিটেনের সার্বভৌমত্ব ছেড়ে দেয়া সম্ভব নয়। একমাত্র ইইউ সেই দাবি ত্যাগ করলে ভালো চুক্তি হওয়া সম্ভব। একই দিনে জার্মান চ্যান্সেলর আঞ্জেলা মার্কেল সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন।

জার্মান সংসদের নিম্ন কক্ষে ভাষণে তিনি বলেন, ব্রিটেনের স্বার্থে ইইউ-র অভ্যন্তরীণ বাজারের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে কোনো ঝুঁকি নেয়া হবে না। ৪৫ কোটি ক্রেতা ও গ্রাহকের এই বাজারের নাগাল পেতে হলে ইইউ’র শ্রম, সামাজিক ও পরিবেশগত মানদণ্ড মেনে চলতে হবে।

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বর্তমানে হাতেগোনা কিছু দেশের নাগরিকদের ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বিনাবাধায় চলাচলের অনুমতি রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো অত্যন্ত সীমিত হারে করোনা সংক্রমিত দেশগুলো রয়েছে এ তালিকায়।

ইইউ ও ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের (ইইএ) বাইরের নাগরিকদের সেখানে অনাবশ্যক ভ্রমণ আপাতত বন্ধ। কিন্তু সম্প্রতি ইউরোপীয় কমিশনের এক মুখপাত্র জানান, আপাতত এই তালিকা আর বড় করার পরিকল্পনা নেই তাদের।

অর্থাৎ ইইউ থেকে ব্রিটেন বেরিয়ে যাওয়ার আগে নতুন চুক্তি না হলে তাদের ওপরও বহাল হবে ওই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। বৃহস্কতিবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব বলেছেন, করোনা নিষেধাজ্ঞা নির্ভর করবে ইইউ এবং সদস্য দেশগুলো কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার ওপর।

তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই ওই চ্যালেঞ্জে পড়েছি এবং আমাদের নিজেদেরই বিভিন্ন জায়গায় বিধিনিষেধ আরোপ করতে হয়েছে।

সম্প্রতি ব্রিটেনে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়ে ব্রিটিশ মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস এখনও একটা জ্বলজ্যান্ত ইস্যু এবং আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, আমরা তা নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তিনি বলেন, আমার আশঙ্কা, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা অনিবার্য হতে চলেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here