চাঁদাবাজি দাবি ও হয়রানির অভিযোগ রংপুর ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে, প্রতিবাদে সৈয়দপুরে সড়ক অবরোধ

0
569
চাঁদাবাজি দাবি ও হয়রানির অভিযোগ রংপুর ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে, প্রতিবাদে সৈয়দপুরে সড়ক অবরোধ

মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুর প্রতিনিধি :

রংপুরে মেট্টোপলিটন ও জেলা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পরিবহন শ্রমিকদের কাছে চাঁদাবাজি ও হয়রানির প্রতিবাদে নীলফামারীর সৈয়দপুরে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত সৈয়দপুর- রংপুর এবং সৈয়দপুর -দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করে পরিবহন শ্রমিকরা। এতে ওইসব সড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এ সময় যানবাহনে থাকা যাত্রীরা মারাত্মক দূর্ভোগের মধ্যে পড়েন। পরে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে নীলফামারী জেলা পুলিশ প্রশাসনের এমন আশ্বাসে অবরোধ তুলে দেন পরিবহন শ্রমিকরা। নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মমতাজ আলী অভিযোগ করেন জানান, রংপুর মেট্টোপলিটন ও জেলা ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট বদরুল, সুজন, বায়েজীদ ও আলমগীর বেশ কিছু দিন থেকে রংপুর মহনগরীর মেডিক্যাল মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে নীলফামারী জেলার বাস-মিনিবাস, মাইক্রোবাস, কার, পিকআপ শ্রমিকদের কাছে চাঁদাবাজি করছেন। এতে পরিবহন শ্রমিকরা তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা সামান্য অজুহাতে মামলা দিয়ে নানা রকম হয়রানী করে আসছে। এছাড়া শ্রমিকদের কাছে দাবিকৃত উৎকোচ না পেয়ে রংপুরে ট্রাফিক সার্জেন্টরা গাড়ি রিকুইজিশনের হুমকি ধমকি দিয়ে চাঁদাবাজি করছেন। ফলে রংপুর ট্রাফিক পুলিশের কর্মকান্ডে জেলার সকল পরিবহন শ্রমিকরা রংপুর ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি ও হয়রানি প্রতিবাদে আজ সোমবার নীলফামারী জেলার পরিবহন শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় সৈয়দপুর- রংপুর ও সৈয়দপুর- দিনাজপুর মহাসড়কে এলোমেলোভাবে গাড়ি লাগিয়ে অবরোধ সৃষ্টির কারণে মহাসড়কে সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহনে আটকে পড়া যাত্রীরা চরম দূর্ভোগে পড়েন।

অবরোধ চলাকালে সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ট্রাফিক মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত শ্রমিক সমাবেশ হয়। এতে নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক, নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মতাজ আলী, নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন মাইক্রোবাস, জীপ, কার, পিকআপ উপকমিটির সম্পাদক মো. মানিক মিয়া প্রমূখ বক্তব্য বলেন। এদিকে, মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল ও সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল হাসনাত খান, নীলফামারী ট্রাফিক বিভাগের যানবাহন ও শহর পরিদর্শক আবু নাহিদ পারভেজ ও জ্যোতির্ময় রায় ঘটনাস্থলে ছুঁটে আসেন। এ সময় সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল ও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসনাত খান পরিবহন শ্রমিকদের উদ্দেশ্য বক্তব্য বলেন। পরে মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পালের মধ্যস্থতায় এক সপ্তাহের মধ্যে সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দেয়া হলে পরিবহন শ্রমিকরা তাদের অবরোধ তুলে নেয়। এরপরেই দুপুর ২টার দিকে সকল প্রকার যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here