ঘণ্টায় ৩ সেন্টিমিটার বাড়ছে বগুড়ায় যমুনার পানি

0
466
ঘণ্টায় ৩ সেন্টিমিটার বাড়ছে বগুড়ায় যমুনার পানি
ছবিঃ সংগৃহীত

খবর৭১ঃ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিপাতে বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতল ও ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রতিঘণ্টায় প্রায় ৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে প্রথম দফার বন্যার রেকর্ড ভেঙে পানি বেড়েছে। দ্বিতীয় দফার এ বন্যায় হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর সারিয়াকান্দি পয়েন্টে পানির নির্ধারিত বিপৎসীমা হচ্ছে ১৬ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় যমুনা নদীর পানি রেকর্ড করা হয় ১৭ দশমিক ৪৭ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ১৭ দশমিক ৫৯ সেন্টিমিটার ও বিকেল ৩টায় ১৭ দশমিক ৬৪ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রথম দফার বন্যা থেকে এখন পর্যন্ত ২৭ সেন্টিমিটার পানি বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরো পড়ুনঃ একে একে সব নদনদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম; বন্যা দীর্ঘ হওয়ার আশঙ্কা

বন্যাদুর্গত এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পানি বৃদ্ধি প্রথম দফার রেকর্ড ভেঙেছে। সব জায়গায় এখন পানি। কোথাও শুকনো জায়গা নেই। করোনা পরিস্থিতির কারণে এলাকার অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তার সঙ্গে বন্যা যোগ হওয়ায় দুর্গত এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন। পানি বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তীব্র হচ্ছে ভাঙন। ভাঙনে বিলীন হচ্ছে একের পর এক লোকালয়। প্রবল নদীভাঙনে বসতভিটা, আবাদি জমি ও ফসল হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন নদীতীরবর্তী এলাকার লোকজন। নদীভাঙন আর যমুনার প্লাবনে দিশেহারা চরাঞ্চলের হাজারো মানুষ। দুর্গত এলাকার লোকজন আশ্রয়কেন্দ্র, বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য সময়ের থেকে দ্বিতীয় দফায় অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়ছে। প্রথম দফার পানি বৃদ্ধির রেকর্ড ভেঙেছে। প্রথম দফার থেকে এখন পর্যন্ত ২৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে বাঙালী নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here