গোপন কক্ষে ‘ডাকাত’ই ইভিএমের বড় চ্যালেঞ্জ: ইসি আহসান

0
200

খবর৭১ঃ

নির্বাচনী কেন্দ্রের গোপন কক্ষে সন্ত্রাসী,ডাকাত দাঁড়িয়ে থাকাকেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএমে) বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আহসান হাবীব খান এমন মন্তব্য করেন।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আয়োজনের মধ্যে এদিন নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এই শঙ্কা প্রকাশের সঙ্গে গোপন কক্ষে ‘ডাকাত’ ঠেকানোর হুশিয়ারি দেন তিনি।

কুমিল্লার প্রার্থীদের প্রতিনিধিদের ইভিএম দেখানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান।

সেখানে একজন সাংবাদিক বলেন, এর আগে দেখা গেছে যে গোপন কক্ষে ঢুকে ইভিএমে ব্যালট খোলার পর একজনের ভোট অন্যজন দিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

তখন আহসান হাবিব বলেন, ইভিএমের মধ্যে চ্যালেঞ্জ একটাই। আর কোনো চ্যালেঞ্জ আমি দেখি না। সেটা হচ্ছে- একটা ডাকাত, সন্ত্রাসী, ওই গোপন কক্ষে একজনকে দাঁড়িয়ে রাখা। আপনার ভোট হয়ে গেছে, চলে যান। দিজ ইজ দ্য চ্যালেঞ্জ।

তবে আসন্ন স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে ও ভোট কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সাংবাদিকদের উপস্থিতি ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতায় কোনো ধরনের অনিয়ম ঘটবে না বলে আশ্বস্ত করে তিনি।

আহসান হাবীব বলেন, সিসি ক্যামেরা থাকবে। সাংবাদিকদের অ্যালাও করা হবে। ভেতরে ঢোকেন ছবি দেন সঙ্গে সঙ্গে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

নির্বাচনে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, দুর্বলতা নাই। কোনো চাপ নাই। আমরা টোটাল স্বাধীন। স্বাধীনভাবে কাজ করব দেখবেন। আমি কথা কম বলতে চাই।

ইভিএমে কোনো ধরনের কারচুপির সুযোগ নেই দাবি করে তিনি বলেন, যার যার ভোট তার তার পছন্দে দেওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করবে ইসি।

কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে প্রার্থী বা তাদের প্রতিনিধিদের ইভিএম কাস্টমাইজেশন দেখতে ৩৪ জনের আসার কথা থাকলেও সোমবার এসেছিলেন ২১ জন।

প্রার্থীর প্রতিনিধিদের ইভিএম মেশিনে ভোট দেওয়া এবং ফলাফল প্রিন্ট দেওয়াসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পর্কে দেখানো হয় তাদের। এসময় ইভিএম প্রকল্প পরিচালক, আইডিইএ প্রকল্প ও এনআইডি উইং এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here