ক্ষতি পোষাতে ছুটির দিনেও ঢাবিতে ক্লাস নেওয়ার চিন্তা

0
181

খবর৭১ঃ করোনার কারণে দেড় বছর বন্ধ থাকার পরে আজ রবিবার সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রমে ফিরেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। লস রিকোভারি প্লান ও এসওপি মানার মাধ্যমে আগামী এক বছরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে আনা সম্ভব বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামান।

রবিবার কলাভবনে সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই আশ্বাস দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ছুটির তালিকায় বড় কোনো ছুটি থাকলে তা সংক্ষিপ্ত করা, কম সময়ে শ্রেণি কার্যক্রম শেষ করা, অনলাইনে পরীক্ষার সময় সংক্ষিপ্ত করা, পরীক্ষার ফল দ্রুত প্রকাশ করা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ডিনবৃন্দ কাজ করছেন। এতে করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামান বলেন, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমাদের লস রিকোভারি প্লান আছে। সংশ্লিষ্ট ডিনবৃন্দ সে অনুযায়ী কাজ করছেন। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে আমরা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি। দেড় বছরে শিক্ষার্থীদের যে সময়টুকু নষ্ট হয়েছে সেটা যেন পুনরুদ্ধার করতে পারি। কম সময়ে অধিক কাজ করে শ্রেণি কার্যক্রম, নানা ক্ষেত্রে সময় সাশ্রয়ী দৃষ্টিভঙ্গি, বড় ছুটি থাকলে সেটা সংশোধন, পরীক্ষার সময় সংক্ষেপণ, দ্রুত ফল প্রকাশ এগুলো লস রিকোভারি প্লানের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে। এটার পাশাপাশি এসওপি মানা আমাদের কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত আছে৷ লস রিকোভারি প্লান ও এসওপি এই দুটো নিয়ে এগিয়ে গেলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো। আমরা আগামী এক বছরের মধ্যে অনেকগুলো বিষয় থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো।

এছাড়াও তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার যে পদক্ষেপ তা আজ সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষার মাধ্যমে পূর্ণতা পেলো। সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষায় উপস্থিতির হার শতভাগ ছিল এবং প্রত্যকেই অন্তত একডোজ টিকা প্রাপ্ত ছিল। এটার প্রশংসা করে উপাচার্য বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যসচেতন। সশরীরে ক্লাসে তাদের দেখে ভালো লাগছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে এক ডোজ টিকা নেওয়ার সনদ ও বৈধ কাগজপত্র দিয়ে ৫ অক্টোবর হতে চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের এবং ১০ অক্টোবর হতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে উঠার অনুমতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৷

আর ২৬ সেপ্টেম্বর হতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, বিজ্ঞান গ্রন্থাগার ও বিভাগীয়/ইনস্টিটিউটের সেমিনার লাইব্রেরি ও আংশিক পরিবহন সেবা চালু করা হয় ৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here