কিশোরীকে কবরস্থানে নিয়ে গণধর্ষণ

0
327

খবর৭১ঃকক্সবাজারের পেকুয়ায় ১৭ বছরের এক কিশোরীকে কবরস্থানে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করেছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা এলাকার একটি কবরস্থানে ঘটে এ ঘটনা।

পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান এই গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেছেন। অন্য দুইজন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের সিকদার পাড়া এলাকার ওই কিশোরী টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা এলাকায় গার্মেন্টে চাকরি করার জন্য অন্য একটি মেয়ের সাথে কথা বলার উদ্দেশ্যে সিএনজি চালিত একটি বেবী টেক্সীতে ওঠে। বেবী টেক্সী চালক জোনাইদ তার বন্ধু আলী হোসেনসহ আরও ৪জনকে তুলে নেয়। তারা কিশোরীটিকে নির্দিষ্ট সময়ে যথাস্থানে নামিয়ে না দিয়ে বিভিন্নস্থানে ঘুরাফেরা করে সময় নষ্ট করে। ওই টেক্সীতে করেই তারা কিশোরীটিকে গভীর রাতে টেইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটার পাহাড়ী এলাকার একটি কবরস্থানে নিয়ে যায়। ওই কবরস্থানে তারা কিশোরীকে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

পরে খবর পেয়ে স্থানীয়রা গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন। থানার উপপরিদর্শক আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করেন। ওই রাতেই কিশোরীর স্বীকারোক্তি মতে টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা এলাকার মনজুর আলমের পুত্র আলী হোসেন (২২)কে আটক করে পুলিশ।

পরে পুলিশ আবদুল মতলবের পুত্র মোঃ তারেক ও আবু ছিদ্দিক নামের আরও দুইজনকে আটক করেছে।

পুলিশ জানায়, তারেক ও আবু ছিদ্দিককে ধর্ষণের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। আলী হোসেন ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আছে বলে ধর্ষিতা নিশ্চিত করেছে।

এছাড়াও কিশোরীর স্বীকারোক্তিমতে প্রধান অভিযুক্ত আবদুল মতলবের পুত্র মিজানুর রহমান, মোঃ কালুর পুত্র মোঃ জোনাইদ ও মৃত আহমদের পুত্র নেজাম উদ্দিন সহ আরো কয়েকজনকে আটকের জন্য পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।

এ বিষয়ে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা জানান, তার মেয়ে পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন টেইটংয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয়েছিল । সিএনজি চালকসহ আরো কয়েকজন তার মেয়েকে গণধর্ষণ করেছে বলে তিনি জানান।

পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, ওই কিশোরীকে রাতে ধর্ষণ করার বিষয়ে জানতে পেরে উদ্ধার করি। জড়িত একজনসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরো দুইজনকে আটক করা হয়েছে। কিশোরীর দেয়া তথ্য মতে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

তিনি আরো বলেন, তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। জবানবন্দি দেয়ার জন্য তাকে আদালতেও নেয়া হবে।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here