কলাপাড়ার ধানখালী ইউপি নির্বাচন বিলম্বিত করণ প্রচেষ্টার অভিযোগ

0
432

রাকিব হাসান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ড থেকে চার হাজার তিন শ’ ৮২ দশমিক ৫৮ একর ভূমি অধিগ্রহণ করায় সব কয়টি ওয়ার্ডের সীমানা পুননির্ধারণের দাবি জানিয়ে আবেদন করেছেন চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ গাজী। তিনি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সচিবের কাছে এমন দাবি করে আবেদন করেছেন।
তিনি দাবি করেন, ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ইউনিয়নটি ২০১৩ সালে আবার নতুন সীমানা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। ইতোমধ্যে নিশানবাড়িয়া ও মধুপাড়ায় ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণে আট ও নয় নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১০১৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া আরপিসিএল নামের একটি সংস্থা ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে চার, পাঁচ, ছয় ও আট নম্বর ওয়ার্ড থেকে লোন্দা মৌজায় ৮১৬ দশমিক ৫৯ একর।
ধানখালী মৌজায় ১৮৪ দশমিক ৫৪ একর ও নিশানবাড়িয়া মৌজায় ৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ আরও ৪৯০ দশমিক ৪৫ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে। একই ইউনিয়নে আশুগঞ্জ বিদ্যুত প্লান্ট করতে ধানখালী মৌজা থেকে আরও ১০১৩ একর জমি অধিগ্রহণ করে। যার ফলে মানুষ বসতি স্থানান্তর করছে। ফলে সব কয়টি ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস করা প্রয়োজন।

চেয়ারম্যানের এমন দাবিকে আবার কিছুটা অসত্য দাবি করে আগামি চার/পাঁচ মাসের মধ্যে সম্ভাব্য ইউপি নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জানান, ইউপি নির্বাচন বিলম্বিত করতে এমন পরিকল্পনা করা হয়েছে। এদের দাবি, জমি অধিগ্রহণ করা হলেও কোন ওয়ার্ডের মানুষ অপর ওয়ার্ডে স্থানচ্যুত হয়নি। তবে ধানখালীতে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে এখন নানামুখি প্রচার-প্রচারণা গড়াচ্ছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায়।
উল্লেখ্য, ধানখালী ইউনিয়ন তহশীলের উপ-সহকারী ভূমী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলামের দেয়া তথ্যমতে ধানখালী ইউনিয়নের মোট আয়তন নয় হাজার তিন শ’ ৬১ একর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here