আলোচনা করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে

0
307

খবর ৭১:ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারা নিয়ে মে মাসের শেষের দিকে সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা করে তা সংশোধন ও পরিমার্জন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সোমবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

বৈঠকে আইনমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে)-এর সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, মহাসচিব ওমর ফারুক, কোষাধ্যক্ষ মধুসূদন মণ্ডল ও সদস্যসচিব সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা সংগঠনের প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারাসহ বিভিন্ন ধারা সংশোধনে ১০টি পর্যবেক্ষণসহ একটি লিখিত প্রস্তাব তুলে ধরেন।

বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সংসদীয় কমিটিতে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। আমার মনে হয় সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করি। সংবিধানে যে বাক-স্বাধীনতার কথা বলা আছে, ফ্রিডম অব প্রেসের (সংবাদপত্রের স্বাধীনতা) কথা বলা আছে, আমরা তা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। সেখানে (আইনে) যদি কোনো সন্দেহ থাকে, সেটা দূর করার জন্য যে যে প্রচেষ্টা দরকার, আমরা সেই সেই প্রচেষ্টা নেব।

তিনি বলেন, সংসদীয় কমিটিতে এই ব্যাপারে খোলামেলা আলোচনা করে যে আইনটা করতে পারব সেটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, কেউ ভীত হবে না। এটাই হচ্ছে আমাদের আসল উদ্দেশ্য। আলোচনার মাধ্যমে এই উদ্দেশ্য সাধিত হবে বলে আমার মনে হয়।

বিএফইউজের প্রস্তাবের ব্যাপারে আইনমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় যৌক্তিক। তার কারণ হচ্ছে- এডিটরস কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা যে বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন তার সঙ্গে এটার অনেক মিল আছে। ওইখানেও আমি বলেছি যৌক্তিক।

বিএফইউজের সুনির্দিষ্ট লিখিত প্রস্তাব বিষয়ে মনজুরুল আহসান বুলবুল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা একটা লিখিত মতামত আইনমন্ত্রীকে দিয়েছি। বিভিন্ন ধারা সম্পর্কে আমাদের ১০টি পর্যবেক্ষণ এবং একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা আছে। স্পিকারের কাছে একই প্রস্তাবনা আমরা উপস্থাপন করেছি। তিনি মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে বললেন। আমরা আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললাম।

মনজুরুল আহসান বুলবুল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিভিন্ন ধারা নিয়ে আমাদের যে উদ্বেগ তা তুলে ধরেছি। যে ধারাগুলো সংশোধন করার জন্য আমরা যেমন দাবি জানিয়েছি, সে অনুযায়ী আমরা একটি প্রস্তাবনা দিয়েছি। তার পাশাপাশি আমরা বলেছি, আইনটি সংসদে পাস হওয়ার পর, প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জন্য, গণমাধ্যমের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সেফটিনেস থাকা উচিত।
খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here