খবর৭১ঃ
সুদীপ্ত শামীম, স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অর্থাভাবে ধীরে ধীরে দু’চোখের আলোই নিভতে চলেছে এক শিক্ষার্থীর। একই সাথে হারিয়ে যাচ্ছে তার সুন্দর এ ভূবণ দেখার স্বপ্ন। জানা গেছে, উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলের তিস্তা তীরবর্তী তালুক বেলকা গ্রামের হায়দার আলী সরকারের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে সোহেল সরকার রানা (১৫)। জন্মের পর থেকেই বাম চোখ একটু ছোট হওয়ায় কম দেখতে পেত।
জন্মের বছর চারেক পর বাবা হায়দার আলী তা জানতে পেয়ে স্থানীয় চিকিৎসক, উলিপুর মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালসহ রংপুরের বিভিন্ন চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা চলার পরেও বাম চোখের কোন উন্নতি হয়নি। এমনকি এক পর্যায়ে তার ডান চোখেও এর প্রভাব পড়ে। ফলে বিত্তহীন বাবা দিশেহারা হয়ে শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে ঢাকার ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু ইন্সটিটিউট হাসপাতালে বিগত বছরের মার্চ মাসে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। অপারেশনের প্রস্তুতি নেয়ার সময় অন্যান্য পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে গেলে তার কিডনীজনিত সমস্যা ধরা পড়ে। যাকে বলে, “মরার উপর খরার ঘা!” উপায়ন্তর না পেয়ে নিঃস্ব বাবা হায়দার আলী ওই মাসেই জাতীয় কিডনী ইন্সটিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করান সোহেলকে। ওই হাসপাাতালে ৩ দিন চিকিৎসার পর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (রমেক) কিডনী বিভাগে চিকিৎসার পরামর্শ দেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনী বিভাগে কয়েক মাস চিকিৎসার পর কিডনীজনিত সমস্যা নিরাময় হলে সোহেল সরকার রানাকে পুনরায় দুু’চোখের অপারেশনের জন্য ঢাকার ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু ইন্সটিটিউট হাসপাতালের রেটিনা বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল মালেক’র তত্ত্বাবধানে বাম চোখের অপারেশন করার চারমাস পরে দ্বিতীয় বার ওই চোখের অপারেশন করা হয়। চিকিৎসক মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল মালেক জানিয়েছেন,”পুনরায় সোহেলের বাম চোখসহ ডান চোখে অস্ত্রোপচার করতে হবে। তবে এর জন্য প্রয়োজন উন্নত চিকিৎসা, যা ব্যয়বহুল।
” এ অবস্থায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন সোহেলের সহায়-সম্পদহীন বাবা হায়দার আলী।তাঁর সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, “মোর তিন ব্যাটা ও একনা বেটির মধ্যে সোহেল তিতীয়। ছোট ব্যালা থাকি এই ব্যাটার চিকিৎসে করতে করতে মুই আইজ নিঃস্ব, মোর কিছুই নাই। টেকার জন্যে মোর ব্যাটাটা মনে হয় অন্ধ হয়া যাইবে, বাপ হয়া মুই কেমন করি সইম। তাকবাদে মোর বেটিটেও ম্যালা চিকিৎসার পরে এখন একনা ভালো হইছে।
এলাও উয়াক ঔষধ খিলে নাগে। আর মুই চিকিৎসা করবের পারোম না।” এ অবস্থায় তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের চক্ষু চিকিৎসক, বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও বিত্তবান মহৎ ব্যক্তিদের নিকট ছেলের দু’চোখের আলো ফিরে পেতে উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য কামনা করেছেন। সাহায্য পাঠাতে পারেন ০১৭১৭-০৫২৬৮৩ (বিকাশ-ব্যক্তিগত) অথবা, সঞ্চয়ী হিসাব নং-১৭১৪৩, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ, সুন্দরগঞ্জ শাখা, গাইবান্ধা।