অভিভাবক নয় শিক্ষকদেরও তদারকি প্রয়োজন – অধ্যক্ষ হাবিবুর

0
436

মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
শিক্ষার্থীদের চাপের মধ্যে না রেখে স্বাভাবিক অবস্থায় পড়াশোনায় মনোযোগী করে তুলতে হবে। এ জন্য শুধু অভিভাবক নয়, পড়াশোনায় খোঁজ নিতে শিক্ষকদেরও নিয়মিত তদারকি প্রয়োজন। তবেই একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে। আর আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাই করে থাকেন বলে পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ফলাফল ভালো হচ্ছে। কথাগুলো বলেছেন সম্প্রতি ঘোষিত জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলে নারী বিদ্যাপীঠগুলোর মধ্যে প্রথম ও গোটা উপজেলায় পাশের দিক থেকে তৃতীয় স্থান পাওয়া সৈয়দপুর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেএসসির ফলাফলে প্রতিষ্ঠানটির ঈর্ষণীয় সাফল্যের বিষয়ে তার সাথে কথা হলে তিনি ওইসব কথা বলেন।
অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন, শিক্ষা নগরী সৈয়দপুরে শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রতিযোগিতা চলছে। বলা চলে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে এ প্রতিযোগিতা। আমরাও এ প্রতিযোগিতায় শামিল রয়েছি। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান মেধাবীদের নিয়ে নেয়। আমরা কম মেধাবী ও দূর্বলদের ভর্তি করে পাঠদান দেই। চেষ্টা করা হয় তাদের মেধাবী হিসেবে গড়ে তুলতে। এক কথায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকারা শিক্ষার্থীদের মনোযোগী করতে ক্লাশের পড়াশোনায় কঠোর তদারকি করে থাকেন। এমনকি ক্লাশের বাইরে অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ রেখে শিক্ষার্থীদের ওপর নজরদারি রাখেন। তাদেরকে চাপমুক্ত রেখে বাড়িতেও পড়াশোনা করাচ্ছেন।
ভালো ফলাফল অর্জন করা ওই প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ বলেন প্রতিষ্ঠানের ক্লাশ পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষকরা তাদের দায়িত্বের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ গড়ে তুলে পড়াশোনায় মনোযোগী করতে পরিশ্রম করছেন। এরপরেই নিয়মিত পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রণের সুযোগ দেয়া হচ্ছে তাদের। অধ্যক্ষ হাবিব বলেন, দুর্বল শিক্ষার্থীদের নিয়ে মেধাবী হিসেবে গড়ে তোলাটাই প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন বলে আজ আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের সাফল্য এসেছে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ অন্যান্য সদস্যরাও দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ দিয়ে আসছেন। এসব কারণে সম্প্রতি ঘোষিত হওয়া জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সৈয়দপুরে নারী বিদ্যাপীঠগুলোর মধ্যে প্রথম ও পাসের দিক থেকে উপজেলায় ৩য় স্থানে রয়েছে।
এবার প্রতিষ্ঠান থেকে ৮১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে সকলেই পাস করে এবং ৭ জন জিপিএ-৫ পায়। এর আগে ২০১৭ সালে ৮১ জনের মধ্যে ৬৯ জন পাস করে। পাশের হার ৮৫.১৮%। জিপিএ-৫ পায় ৫ জন। ২০১৬ সালে ৮৫ জন পরীক্ষার সকলেই পাশ করে। সে সময় জিপিএ-৫ পায় ১৪ জন। ২০১৫ সালে ৮৪ জনের মধ্যে ৮১ জন পাস করে। পাসের হার ৯৬.৪২ ভাগ। জিপিএ-৫ পায় ৯ জন। প্রথম জেএসসি পরীক্ষা ২০১৪ সালে অংশ নেয় ৮৫ জন। পাস করে ৮২ জন। পাসের হার ৯৬.৪৭ ভাগ। জিপিএ-৫ পায় সে সময় ২ জন।
অধ্যক্ষ হাবিব বলেন আগামীতে যাতে আরও ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারে পরীক্ষাথীরা সেজন্য সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here