খবর৭১:মাদারীপুর থেকে সংবাদদাতা ॥মাদারীপুর সদর উপজেলার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ডে প্রায় ১৫/১৬ শতাধিক গ্রামবাসীদের নিয়ে চাঞ্চল্যকর রাজ্জাক হাওলাদার হত্যার বিচারের দাবীতে শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দুই ঘন্টা ব্যাপী বিশাল এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। এ সময় আত্মীয় স্বজনসহ এলাকাবাসীরা কান্না ভেঙে পড়ে।
মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, মাদারীপুর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ সোহরাব হোসেন খান, ইউপি সদস্য আঃ হক সরদার, আনোয়ার হোসেন খান, গোলাম ফারুক হাওলাদার, ইউপি সদস্য মনজুর হোসেন মিন্টু, মোঃ বাদল মাতুব্বর, ছরোয়ার হাওলাদার, জামাল ঢালী, ইউসূফ ঢালী, ইলিয়াস হাওলাদার, হাবিব হাওলাদার, ফেরদাউস হাওলাদার ও চোকিদার কামাল।
ক্ষোপ প্রকাশ করে বক্তারা এ সময় বলেন, চাঞ্চল্যকর রাজ্জাক হাওলাদার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী কুখ্যাত ডাকাত, এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ মুজাম মীর, ড্যান্ডি বাবু তালুকদারসহ শাহিন মীর, মহসিন মীর, মিজানুর মীর, মনজুর মীর, মুরাদ মীর, সালাম ঢালী, মিন্টু মীর, সজল মীর, সুজন মীর, শওকত মীর, খসরু মীর, সাইদুল হাওলাদার, আসাদুল হাওলাদার, সাহাবুদ্দিন হাওলাদার, হারুন মীর, আবু মীর, কাওসার মীর, সান্টু মীর ও ইরিফ মৃধা সহ আর ৮/১০ জন আসামীরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আসামীরা মস্তফাপুরের বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঘটনার প্রায় দুই সপ্তাহ হয়ে গেলেও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করছে না।
নিহত রাজ্জাক হাওলাদারের ভাই ও মামলারবাদী সরোয়ার হাওলাদার জানান, একই এলাকার উল্লেখিত আসামীদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন মোবাইলে ডেকে নিয়ে রাজ্জাক হাওলাদারকে হত্যা করেছে। লাশ পাওয়ার পর থেকে ওরা পলাতক রয়েছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’
মাদারীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। পুলিশ দুই জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। বাকী আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খবর৭১/জি: