গতকাল প্রথম দুই সেশন ভালো খেলার পর তৃতীয় সেশনে ছন্দপতন হয়েছিল বাংলাদেশের। ২৭৯ রানেই হারিয়েছিল ৭ উইকেট। এরপর আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ১২ রান যোগ করে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল টাইগাররা। হাতে মাত্র ৩ উইকেট নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করার পর জিম্বাবুয়ে ভেবেছিল খুব দ্রুতই শেষ করে দেবে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। তবে তা হতে দেননি মেহেদি হাসান মিরাজ ও তানজিম হাসান সাকিব। নবম উইকেট জুটিতে দুজনে মিলে গড়েছেন ৯৬ রানের জুটি। ১৬ রানে দিন শুরু করা মিরাজ তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। আর তাতেই প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংস শেষে ২১৭ রানে পিছিয়ে সফরকারী দল।
সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৪৪ রানের বিশাল সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে তাইজুল ইসলামের ৬ উইকেটে মাত্র ২২৭ রানেই অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামবে ২১৭ রানে পিছিয়ে থেকে।
ম্যাচের তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে ৪০৮ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সে সেশনে ২৭ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করেছিল ১১৩ রান। দ্বিতীয় সেশনে ৭৬ রান নিয়ে মাঠে নেমে শতক তুলে নিয়েছেন মিরাজ। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১০৪ রান। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস।
মিরাজের পাশাপাশি এই ইনিংসে শতকের দেখা পেয়েছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। খেলেছেন তার ক্যারিয়ার সেরা ১২০ রানের ইনিংস। রানে ফেরার আভাস দিয়েছেন মুশফিকুর রহিমও। রান আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। দীর্ঘদিন পর টেস্ট দলে ফেরা এনামুল হক বিজয় করেছেন ৩৯ রান। আর অভিষেক টেস্টে তানজিমের ব্যাট থেকে এসেছে ৪১ রান। আর তাতেই প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৪৪ রানে। আর জিম্বাবুয়ের হয়ে অভিষেক টেস্টে ৫ উইকেট নিয়েছেন ভিনসেন্ট মাসেকেসা।
সিরিজের প্রথম টেস্ট হেরে সিরিজ বাঁচাতে এই ম্যাচ জয়ের বিকল্প নেই নাজমুল হোসেন শান্ত’র দলের। তবে প্রথম ইনিংসে তাইজুল ইসলামের দারুণ বোলিং ও মিরাজ সাদমানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ম্যাচে চালকের আসনে আছে টাইগাররা। ম্যাচে ফিরতে দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করার বিকল্প নেই সফরকারীদের।