তারেক রহমানের ১৯তম কারাবন্দি দিবস আজ

0
15

আজ ৭ মার্চ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৯তম কারাবন্দি দিবস। ২০০৭ সালের এই দিনে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় শুরু হয় যখন অবৈধ এক-এগারো সরকার ভোররাতে তাকে ঢাকার বাসভবন থেকে বিনা ওয়ারেন্টে আটক করে।

সেই সময় তারেক রহমানের বন্দি হওয়া শুধু একজন নেতার নয়, বরং দেশের ১৮ কোটি মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির স্বপ্নকে বন্দি করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে পরে ১৩টি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করা হয় এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ডিটেনশন দেয়া হয়। তাকে ছয় দফায় ১৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।

এরপরও তাকে দেশ ও রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়, কিন্তু দেশের প্রতি তার অনড় ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা তাকে কোনো প্রস্তাবে রাজী হতে বাধ্য করেনি। ২০০৭ সালের ২৮ নভেম্বর, আদালতে দাঁড়িয়ে তিনি তার উপর করা অমানবিক নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরেন।

নির্যাতনের কারণে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে এবং যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ায় ২০০৮ সালের ৩১ জানুয়ারি তাকে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা ওঠে।

তার স্বাস্থ্যের আরও অবনতি হলে তার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশে বড় ধরনের আন্দোলন শুরু হয়। সরকারের চাপেই তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়, তবে তিনি নিঃশর্ত মুক্তির জন্য অনড় অবস্থানে ছিলেন। শেষে, ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি বিদেশ যাওয়ার সুযোগ পান।

আজও, লন্ডনে চিকিৎসাধীন থাকলেও, তিনি দেশ ও দলের সাথে কোনোভাবে বিচ্ছিন্ন হননি। হাজার মাইল দূর থেকেও তিনি নিয়মিত সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় রয়েছেন। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে তিনি সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলেন। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে নেতাকর্মীদের একসূত্রে গেঁথে তিনি অভুতপুর্ব সাফল্য দেখান। তার দিক নির্দেশণায় ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিরোধী আন্দোলন এদেশের গণ-মানুষের আন্দোলনে পরিণত হয়। যার প্রতিফলন ঘটেছে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here