নির্বাচন এবং সংস্কারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার সকালে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পমাল্য অর্পনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিলো, জুলাই-আগস্টের মধ্যে বিএনপি নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে কিন্তু অনেক পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, এই দাবিটি অবাস্তব… এতো দ্রুত নির্বাচন ও সংস্কার সম্ভব নয়।
জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আমরা বরাবর এককথা বলে এসেছি যে, সংস্কার এবং নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরেোধ নেই। সংস্কারও চলবে, নির্বাচন হবে এবং যে দল সরকারে আসবে তারা সংস্কারগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
‘‘ আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে পরিস্কার করে বলতে পারি যে, আমরা প্রতিটি সংস্কারকে এগিয়ে নিয়ে যাব।”
‘সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে এখন মন্তব্য নয়’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আমরা এসব রিপোর্ট নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এজন্য যে, পুরো রিপোর্ট আমাদের কাছে এসে পৌঁছেনি। এখানে সরকার যে বলেছে এবং পরিকল্পনা করেছে রিপোর্টগুলো পাবার পর রাজনৈতিব দলগুলোর সঙ্গে তারা আলোচনা করবে এবং তারপরেই সিদ্ধান্ত হবে।”
‘‘ ঐক্যমত ছাড়া কোনটাই গ্রহনযোগ্য হবে না।”
সকাল ১১টায় বিএনপি মহাসচিব দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানে ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে পুস্পমাল্য অর্পন করেন এবং প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন।
জিয়াউর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবন-কর্ম তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তিনি যখন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে এসেছিলেন তখন তিনি বাংলাদেশকে একটি আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য খুব অল্প সময়ের মধ্যে সমস্ত ক্ষেত্রগুলোকে নতুন সংস্কার করে কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশে যে সংস্কার অর্থাৎ একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলেন… তিনি প্রথম একটা বদ্ধ অর্থনীতিকে মুক্ত বাজার অর্থনীতির একটা পরিকল্পনা চালু করেন, কৃষিতে বিপ্লব হয়েছিলো।”
‘‘ এই মহান নেতা তিনি যে দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই দল আজকে এতো বছর পরেও সমস্ত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে বাংলাদেশের সর্ববৃহ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। তার উত্তরসূরি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এ দলকে আরও শক্তিশালী করেছেন। আজকে তিনি অসুস্থ অবস্থায় লন্ডনে আছেন। আমরা তার আরোগ্যলাভের জন্য দোয়া করছি এবং তারই যোগ্য উত্তরসুরী আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব তার সন্তান তিনি আজকে হাসিনা ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশের নুতন নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন।”
১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীতে তার জন্ম। দিবসটি পালনে বিএনপি সারাদেশে দিনব্যাপী আলোচনা সভা, কবিতা পাঠসহ নানা অনুষ্ঠান করছে।