এক মাসে রিজার্ভ কমেছে ১৩০ কোটি ডলার

0
56

গত ১০ মাসের মধ্যে সদ্যবিদায়ী জুলাই মাসে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যার প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ এক মাসে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার কমে ২০.৪৯ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। যা আগের মাস জুন শেষে ছিল ২১.৭৯ বিলিয়ন ডলার। আর নিট রিজার্ভ কমে ১৫.৪৭ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।

এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি সপ্তাহের রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করলেও জুনের পর জুলাইয়ের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯০ কোটি ডলার। আগের মাস জুনে এর পরিমাণ ছিল ২৫৪ কোটি ডলার। এর মানে আগের মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ৬৪ কোটি ডলার, যা প্রায় ৩৪ শতাংশ কম। আর আগের বছরের একই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৭ কোটি ডলার। সে হিসেবে কমেছে ৭ কোটি ডলার বা ৩.৫৫ শতাংশ।

জানা যায়, গত মে পর্যন্ত রফতানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ। এরকম পরিস্থিতির মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার কমে এসেছে।

আইএমএফসহ বিভিন্ন উৎস থেকে গত জুনে ২ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেয়েছিল বাংলাদেশ। এতে করে বিপিএম৬ অনুযায়ী জুন শেষে নিট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছিল ১৬.৭৭ বিলিয়ন ডলার। জুলাই মাসের শুরুর দিকে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ১.৪২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়।

এদিকে ডলারের ওপর চাপ কমাতে বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া অন্য পণ্য আমদানিতেও ব্যাংকগুলোকে সতর্ক হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এরপরও ডলার সংকট মেটাতে বিদায়ী অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে বিক্রি করেছে ১ হাজার ২৬৯ কোটি বা ১২.৬৯ বিলিয়ন ডলার। এর ফলে কমে গেছে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ।

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০২১ সালের আগস্টে। তবে করোনা পরবর্তী অর্থনীতিতে বাড়তি চাহিদা এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি, বিদেশি ঋণ ও বিনিয়োগ কমে যাওয়া এবং আগের দায় পরিশোধ বেড়েছে। গত ৩ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৩৩.৮৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। সব মিলিয়ে ধারবাহিকভাবে রিজার্ভ কমছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here