কোটা আন্দোলনকারীদের মহাসড়ক অবরোধ

0
56

সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। আজ শনিবার (৬ জুলাই) দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। এর মধ্যে টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক এবং রাজশাহীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করছেন।

আমাদের টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টাঙ্গাইল শহরের বাইপাসের নগর জলপাই এলাকায় অবস্থান করে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। এর ফলে নাটিয়াপাড়া থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে আমাদের রাজশাহী প্রতিনিধি জানান, কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান সম্বলিত ব্যানার প্ল্যাকার্ড নিয়ে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর থেকে মিছিল নিয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে ঢাকার রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’ ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’, আপোষ না সংগ্রাম-সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর পরিপত্র-পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক-মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে-কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়-বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

মহাসড়ক অবরোধকালে অসংখ্য যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও সংশ্লিষ্টরা।
২০১৮ সালের অক্টোবরে কোটাবিরোধী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করলে সরকার পরিপত্র জারি করে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল করে দেয়। ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুন পরিপত্রটি বাতিল করে দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। এরপর আবারো ক্যাম্পাসগুলোতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।

শিক্ষার্থীরা এবার চার দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের দাবিগুলো হলো:

১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা।

২. পরিপত্র বহালসাপেক্ষে কমিশন গঠনপূর্বক দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সমস্ত গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যাতীত)।

৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া।

৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here