পদ্মা ও যমুনা সেতু বাদে সড়ক, মহাসড়ক, ব্রিজ, ফ্লাইওভার, এক্সপ্রেসওয়ে, ফেরিতে চলাচলের সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কোনো গাড়ি থেকে টোল বা চার্জ আদায় বা আরোপ না করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটে প্রাথমিক শুনানির পর সোমবার (১ জুলাই) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
বিভিন্ন সময়ে ফায়ার সার্ভিসের টোল দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়।
এটি জানার পর ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে টোলমুক্ত রাখতে গত ৬ মে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের চেয়ারম্যান ও সচিব বরাবর আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন।
সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
রুলে সড়ক, মহাসড়ক, ব্রিজ, ফ্লাইওভার, এক্সপ্রেসওয়ে, ফেরিতে চলাচলের সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের গাড়ি থেকে টোল বা চার্জ আদায় বা আরোপ কেন বে-আইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন বলেন, সড়ক-মহাসড়ক, ব্রিজ, ফ্লাইওভার, এক্সপ্রেসওয়ে, ফেরি, টানেলে চলাচলে রাষ্ট্রপতি ছাড়া সবাইকে টোল দিতে হয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস মানুষের জানমাল রক্ষায় কাজ করে থাকে। তাদের গড়ি চলাচল নির্বিঘ্ন হওয়া দরকার। কিন্তু টোল আইন, ১৮৫১, কক্সবাজারের জন্য প্রণীত ১৯৮৫ সালের সড়ক ও জনপথ (সওজ) টোল আইন, ২০১৪ সালের টোল নীতিমালা এবং চলতি বছর ২৬ জুন গেজেট আকারে প্রকাশিত টোল নীতিমালা, ২০২৪ (সংশোধিত) এর কোথাও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে টোলমুক্ত রাখা হয়নি। বরং টোল না দিলে শাস্তি ও জরিমানার বিধান আছে। এসব যুক্তি শোনার পর আদালত রুলসহ আদেশ দিয়েছেন। পদ্মা সেতু আন্তর্জাতিক চুক্তিতে করা। তাই সে বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করেনি।