রমজান ও ঈদকে ঘিরে রাজধানীজুড়ে ডিএমপির বিশেষ অভিযান

0
207

খবর৭১ঃ

পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বিশেষ করে ছিনতাইকারী, অজ্ঞানপার্টি ও মলমপার্টিদের ধরতে রমজান শুরুর আগে থেকে বিশেষ অভিযান শুরু করে। এই অভিযান চলবে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নগরবাসীর নিরাপত্তায় কাজ করবে ডিএমপির ৫০টি থানা। এছাড়া অজ্ঞান ও মলম পার্টি, ছোঁ মারা পার্টি, বিভিন্ন সড়কে ও মোড়ে মোড়ে কিংবা বিভিন্ন শপিং মলে ইভটিচারদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে নিয়োজিত থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ। শপিং মলে আসা নারী ক্রেতা এবং বিভিন্ন শপিংমলে কর্মরত নারী বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় দায়িত্বে থাকবেন নারী পুলিশের সদস্যরাও। ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ডিএমপির একটি সূত্র জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে পকেটমারসহ যাদেরকে সন্দেহ হবে, তাদেরকেই তল্লাশি করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চৌকি বসানো হবে। মোটরসাইকেলে থাকবে টহল টিম। রমজানের প্রথম সপ্তাহ থেকেই জোরদার করা হবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে রাজধানীতে যাতায়াত এবং কেনাকাটা শেষে নির্বিঘ্নে বাসায় ফিরতে পারেন।

ডিএমপির ভাষ্য, এছাড়াও রাস্তার মোড়ে বখাটেদের উৎপাত ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন মার্কেটে থাকা কমিউনিটি পুলিশকেও সক্রিয় হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ডিএমপি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, রমজান মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভিক্ষুকরা রাজধানীতে আসেন। এসব বিষয়েও পুলিশের বিশেষ নজরদারি থাকবে। এছাড়া রাস্তার পাশে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রমজান মাসে অনেকেই রাস্তার পাশে ইফতারির দোকান বসান। তারা সিলিন্ডার ব্যবহার করে ইফতার তৈরি ও বিক্রি করেন। রাস্তার পাশে কিংবা ফুটপাতে সিলিন্ডারে কোনো ধরনের রান্নার অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে ফুটপাতে সারা বছর হকাররা যেসব জিনিসপত্র বিক্রি করেন, তাদেরকে ফুটপাতেই থাকতে হবে। ফুটপাতের বাইরে রাস্তার পাশে বা ওপরে কোনো হকারকে বসতে দেওয়া হবে না। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার ডিসিদের (ডিএমপির ডেপুটি কমিশনার) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ডিএমপির কর্মকর্তাদের ভাষ্য, যেসব ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে— আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে তারা আবারও একই ধরনের কাজে জড়িয়ে পড়ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছিনতাইকারী, পকেটমার কিংবা অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টির সদস্যদের গ্রেপ্তারের পর জুডিশিয়ালি সিস্টেমের ধারাবাহিকতায় আইনের আওতায় এনে জেলে পাঠানো হচ্ছে। চোর ও ছিনতাইকারীদের ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে।

এ সময়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, ‘রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীবাসীর নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ডিএমপি। পকেটমার ও ছিনতাইকারীদের হাত থেকে রাজধানীবাসীকে রক্ষা করতে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এসব বিষয় কঠোরভাবে মনিটরিং করা হয়।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here