ফুলপরীকে নির্যাতন: অন্তরাসহ ৫ ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার

0
156

খবর৭১: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহাদাত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শনিবার দুপুরে উপাচার্যের দপ্তরে শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শেখ আবদুস সালাম। সভা থেকে অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে হবে। জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের চূড়ান্ত বহিষ্কার করা হবে।

বহিষ্কৃত ছাত্রীরা হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা (সেশন: ২০১৭-১৮), চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি (সেশন ২০২০-২১), আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম (সেশন: ২০২০-২১), ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম (সেশন: ২০২০-২১) ও একই বিভাগের একই সেশনের মুয়াবিয়া জাহান।

এদের মধ্যে অন্তরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। অন্যরা ছাত্রলীগের কর্মী। নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচজনকেই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ করেন ফিন্যান্স বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন।

নির্যাতনের সময় তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল ও ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। পরে এ বিষয়ে ফুলপরী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলের প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

ঘটনাটি নিয়ে দুটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর গত বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ কয়েক দফা নির্দেশসহ আদেশ দেন।

নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত বলে তদন্ত প্রতিবেদনে আসা শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি অন্তরাসহ পাঁচ ছাত্রীকে সব ধরনের শিক্ষাকার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার (সাসপেন্ড) করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।

একই সঙ্গে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট শামসুল আলমকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনার পর ওই দিনই প্রাধ্যক্ষকে প্রত্যাহার করা হয়।

এদিকে অভিযুক্তরা নির্যাতনের কথা স্বীকার করলেও ভিডিও ধারণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে এ ঘটনায় গঠিত হাইকোর্টের তদন্ত কমিটি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত কমিটি ও হল কর্তৃপক্ষের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ভিডিও ধারণের সত্যতা মিলেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here