খবর ৭১: ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির জোন ভিত্তিক ১৬ টি সমাবেশের মধ্যে ৮ টি সমাবেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির। এরমধ্যে দক্ষিণ বিএনপির ৭ টি জোনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১০ ই অক্টোবর দক্ষিণ বিএনপির জোন- ৮ এর (শ্যামপুর – কদমতলী থানা) বিএনপির জনসভা হয়ে গেলো।
উক্ত জনসভা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই শ্যামপুর – কদমতলী থানায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। উক্ত জনসভায় বিএনপির আভ্যন্তরীণ কোন্দলে বড় ধরনের সহিংসতার আশংকা প্রকাশ করে ছিল নেতাকর্মীরা। উক্ত জনসভায় নেতৃত্ব দেয়া নিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলাম ও যুগ্ম আহবায়ক তানভীর আহমেদ রবীনের নেতাকর্মীদের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে উভয়পক্ষ মুখামুখি অবস্থানে ছিল বলে স্হানীয় বিএনপি ও অংগসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে কানাঘুষা চলছিলো।
এরমধ্যে গত কয়েক দিন আগে নয়াপল্টন বিএনপির অফিসের সামনে সাইফুল ও রবীন গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি ও হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক নেতাকর্মীরা বলছেন, এমনিতেই সাইফুল – রবীন দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা এলাকায় দুই ভাগে বিভক্ত তার সাথে আরো ঘি ঢেলেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। তারা সাংগঠনিক নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে তানভীর আহমেদ রবিনকে শ্যামপুর জোনের সমাবেশে সভাপতি করার দায়িত্ব দিয়েছে । কারন ঢাকা মহানগর দক্ষিন বিএনপির জোন ভিত্তিক গত ৭ টি জনসভার সভাপতিত্ব করেছেন জোনগুলোর প্রধান সমন্বয়ক বা উক্ত জোনে থাকা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়কদের মধ্য থেকে। কিন্তু শ্যামপুর – কদমতলী জোনের প্রধান সমন্বয়ক হলেন আ ন ম সাইফুল ইসলাম। এছাড়াও আ ন ম সাইফুল ইসলাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এবং শ্যামপুর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি, আর তানভীর আহমেদ রবিন হচ্ছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও কদমতলী থানা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে ও আ ন ম সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক তানভীর আহমেদ রবিনের চেয়ে সিনিয়র ।
স্হানীয় তৃনমূলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন স্হানীয় পদাধিকার বলে সিনিয়রিটি হিসেবে জোন – ৮ শ্যামপুরের এ জনসভায় সভাপতিত্ব করার দায়িত্ব পাওয়া উচিত ছিল আ ন ম সাইফুল ইসলামের । কিন্তু দলের সকল নিয়মনীতি লংঘন করে তানভীর আহমেদ রবিনকে সমাবেশের সভাপতি করার দায়িত্ব দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ । এর ফলে দলের মধ্যে শৃঙ্খলা এবং গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া হুমকির সম্মুখীন হবে বলে এলাকার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা মনে করছেন।
স্হানীয় অনেক তৃনমূল মনে করেন উক্ত ঘটনায় শ্যামপুর – কদমতলী জোনের বিএনপি স্পষ্টত দুই ভাগে বিভাজিত হলো। এর ফলে এই অঞ্চলে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে বলে সকলেই আশংকা প্রকাশ করছেন।
সমাবেশে সাইফুল ইসলাম পন্থিদের অংশ গ্রহণ থাকলেও তাদের মধ্যে ছিল ক্ষোভ: অনেক নেতাকর্মীরা বলেছেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও শ্যামপুর জোনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সাইফুল ইসলাম পন্থিদের মধ্যে সমাবেশ ঘিরে ক্ষোভ বিরাজ করে। তারা বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিন বিএনপির জোন ভিত্তিক গত ৭ টি জনসভার সভাপতিত্ব করেছেন জোনগুলোর প্রধান সমন্বয়ক বা উক্ত জোনে থাকা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়কদের মধ্য থেকে। কিন্তু শ্যামপুর – কদমতলী জোনের প্রধান সমন্বয়ক হলেন আ ন ম সাইফুল ইসলাম হলেও নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে তাকে সভাপতিত্ব করতে দেয়া হয়নি। যিনি সভাপতিত্ব করেছেন যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে সাইফুল ইসলাম ছিলেন সিনিয়র। নেতাকর্মীরা বলেন, দলের মধ্যেই যেহেতু গণতন্ত্র নেই, এই দল কিভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।