হাবিবুর রহমান নাসির ছাতকঃ
ছাতকে এক গার্মেন্টস কর্মীকে পাশবিকতার চেষ্টার অভিযোগে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক আল আমিন (২৬) কে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে অভিযুক্ত পুত্রকে স্বেচ্ছায় থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছেন তার পিতা। আল আমিন উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের তেরাপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হুশিয়ার আলীর পুত্র। বর্তমানে সে ছাতক-সিলেট সড়কের ঝাওয়ারখাড়া এলাকায় এক
বস্তিতে বসবাস করছে। এ দিকে ওই গার্মেন্টস কর্মী হাসনাবাদ আশ্রায়ন প্রকল্পের বাদিন্দা বলে জানা গেছে।
নির্যাতনের শিকার ভিকটিম জানান, কয় বছর ধরে ঢাকা গাজীপুরের একটি গার্মেন্টসে সে চাকুরী করে। মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে সে শুক্রবার দিনের বেলায় গাজিপুর থেকে যাত্রীবাহী বাসে সিলেটে আসে। এরপর সিলেটের বন্দরবাজার থেকে লেগুনাযোগে ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে নামেন রাত ৯টা দিকে।
হাসনাবাদ এলাকায় যাওয়ার জন্য গোবিন্দগঞ্জ থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাতে উঠেন ওই নারী। ওই অটোরিকশাতে আরও ৩ জন পুরুষ যাত্রী ছিলো। রাত প্রায় ১০টার দিকে সূফিনগর ও আশপাশ এলাকায় ৩ জন পুরুষ যাত্রী গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। একমাত্র যাত্রী ওই গার্মেন্টস কর্মী তখন ছিলেন গাড়িতে। এ সময় চালক যুবতী যাত্রীকে নিয়ে খারাপ কথা বার্তা বলার পর ঝাওয়ারখাড়া ব্রিজ পার হয়ে পুলিশ বক্সের পাশের পরিত্যক্ত কাঁচা রাস্তা দিয়ে ভেতরে নিরাপদ স্থানে গিয়ে যুবতীকে ব্লাকমেইল করে পাশবিকতার চেষ্টা চালায়।
এসময় ওই লম্পট চালকের হাত থেকে বাঁচতে এবং নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করতে সড়ক পথে ওই যুবতী দৌড় শুরু করেন। ওই সময়ে গোবিন্দগঞ্জগামী অপর একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশার যাত্রীরা তাকে হেফাজত করেন। খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে ছাতক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নম্বরবিহীন মিনহা-তানহা পরিবহন-১, নামের অটো-রিকশাসহ ওই যুবতীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
এর আগে চালক রাস্তায় তার গাড়িটি রেখে পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী ওই যুবতী বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন চালক আল আমিনের বিরুদ্ধে তার বিরুদ্ধে এ ধরণের আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
থানার উপ-পরিদর্শক সামছুল আরেফিন ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাতেই ওই যুবতী গামেন্টস কর্মীকে উদ্ধারের পর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ( ছাতক সার্কেল) রনজয় চন্দ্র মল্লিক জানান, আসামি আল আমিনের বাবা বীব মুক্তিযোদ্ধা হুশিয়ার আলী নিজেই তার ছেলেকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন।