রাত ১১টার পর চলবে না গাজীপুরের কোনো আঞ্চলিক পরিবহণ

0
425

খবর৭১ঃ
গাজীপুরে জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়কে রাত রাত ১১টার পর তাকাওয়া পরিবহণসহ জেলাভিত্তিক আঞ্চলিক পরিবহণ চালানো হবে না বলে জানিয়েছেন জেলার পরিবহণ ও শ্রমিক নেতারা। রাতে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১২টায় জেলার শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তায় মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান।

সড়ক-মহাসড়কে বাসে ডাকাতি, দস্যুতা, ছিনতাই ও ধর্ষণ প্রতিরোধে করণীয় সংক্রান্তে পরিবহণ মালিক, চালক-সহকারী ও শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে মাওনা হাইওয়ে থানা।

মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন— সার্জেন্ট শিবু নাথ সরকার, শ্রমিক লীগ নেতা মুজিবুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা জুয়েল মাহমুদ আসিফ, মো. জালাল উদ্দিন, ফরিদ আহমেদ, গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন কার্যকরী কমিটির সহ-সভাপতি আবুল হোসেন পালোয়ান ও হাজী মোহাম্মদ হারেছ উদ্দিন প্রমুখ।

গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন কার্যকরী কমিটির সভাপতি মো. ইমান আলী তার বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি তাকওয়া পরিবহণে ছিনতাই ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে; যা গাজীপুরের পরিবহণ ইতিহাসে কখনো ঘটেনি। এটা পরিবহণ সেক্টরের জন্য লজ্জাকর। এ ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তাই সব চালক ও হেলপারের জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও রাত ১১টার পর গাজীপুরের আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কে পরিবহণ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রতিদিন রাতে শ্রমিক নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত দুটি টিম ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তদারকি করছেন। সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা রাতে বাস চালাবেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন কার্যকরী কমিটির সভাপতি সুলতান উদ্দিন আহমেদ মোবাইল ফোনে বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা রাত ১১টার পর থেকে গাজীপুরের সড়ক-মহাসড়কে জেলাভিত্তিক আঞ্চলিক পরিবহণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে মানুষের কোনো ঝুঁকি না থাকে, গাড়িতে ডাকাতি না হয়, ধর্ষণ, অসদাচরণ না হয়। সাংগঠনিক এ সিদ্ধান্ত আমরা বেশ গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করব।

তিনি বলেন, রাতে জেলাভিত্তিক আঞ্চলিক পরিবহণ চলাচল বন্ধে একটি মোবাইল টিম গঠন করে দিয়েছি। মোবাইল টিম দুটি মাইক্রোবাসে করে তারা সার্বক্ষণিক টহল দিতে থাকে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গাতে পাহারাদার নিয়োগ করা হয়েছে। এটা আমাদের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত। যে গাড়িগুলো সিদ্ধান্ত না মেনে চলাচল করবে সেই গাড়িগুলোকে আমাদের লোকেরা আটক করে নির্দিষ্ট ডাম্পিং পয়েন্টে নিয়ে আটকে রাখবে। পরদিন ওই গাড়ি চলাচল বন্ধ করে চালককে সাসপেন্ড করা হয়।

তিনি আরও জানান, লাইসেন্সের তথ্য, জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থায়ী ও বর্তমানর তথ্য সম্বলিত একটি ডাটাবেস তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেকটি পরিবহনে জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো আছে, গাড়িটি কোথায় কীভাবে যাচ্ছে, কোনো সড়ক ধরে চলাচল করছে তার বিস্তারিত জিপিএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে বাস মালিক ও পরিবহণ অফিস জানতে পারবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here