ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে ডিজিটাল সিটিজেনশিপ বিষয়ক সচেতনতা

0
499

খবর৭১ঃ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)’র অর্থায়নে, ডিনেট এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম যৌথভাবে ‘Foster Responsible Digital Citizenship to Promote Freedom of Expression in Bangladesh’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্বশীল ডিজিটাল সিটিজেন হতে সহায়তা করা এবং তাঁদের মাঝে গঠনমূলকভাবে স্বাধীন মত প্রকাশের চেতনা গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এই প্রকল্পের সূচনা। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে, ২৮ থেকে ৩১ মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত ডিজিটাল সিটিজেনশিপ নিয়ে ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আটটি লার্নিং সেশনের আয়োজন করা হয়। এই চার দিনে দিনে আটটি লার্নিং সেশনে অংশগ্রহণ করেন ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ থেকে প্রায় ২৫০ জন কৃতি শিক্ষার্থী। মার্চ ও এপ্রিল মাস জুড়েই এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে পিয়ার লার্নিং কার্যক্রম চলমান থাকবে। লার্নিং সেশনে বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকরা। সেশনে বক্তব্য রাখা শিক্ষকরা হলেন- উমাইদ হাসান, সাজিব খান, মরিয়ম আক্তার মৌ, মো. মুশফিকুল ইসলাম, ডিএম. মেহেদী হাসান আবিদ, মুন্সি নাজমুস সাকিব, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. মানিক পারভেজ। অর্ধ বেলার লার্নিং সেশনগুলো পরিচালনা করেন ডিনেটের পক্ষ থেকে নিয়াজ ইসলাম আরিফ এবং সেশনটিতে সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেন ডিনেটের প্রজুরী দে।

লার্নিং সেশনে ডিজিটাল সিটিজেনশিপ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিভিন্ন উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হয়; যা তাঁদের প্রাত্যহিক জীবনে সচেতন ও দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখবে। শিক্ষার্থীরা সেশনের বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং নিজ জীবনে এই শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে উৎসাহী হন। এই লার্নিং সেশনে অংশগ্রহণের পর উপস্থিত শিক্ষার্থীরা মার্চ ও এপ্রিল মাস জুড়ে ডিনেট-এর তত্ত্বাবধানে তাঁদের সহপাঠীদের সাথে ২০০ পিয়ার লার্নিং সেশন পরিচালনা করবেন, যার প্রতিটিতে চার থেকে পাঁচজন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকবেন। এই পিয়ার লার্নিং সেশনগুলোতে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সিটিজেনশিপ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষণীয় বিষয় জানতে পারবেন এবং একটি গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা চর্চার পদ্ধতি সম্পর্কে জানবেন। যা তাঁদের ডিজিটাল দুনিয়ায় বিচরণের ক্ষেত্রে আচরণগত পরিবর্তন এনে একজন গর্বিত ডিজিটাল নাগরিকে পরিণত হতে সহায়তা করবে।

পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সিটিজেনশিপ চ্যালেঞ্জ, ২০২২-এ অংশগ্রহণ করতে পারবেন প্রকল্পের ওয়েবসাইট https://www.digitalcitizenbd.com/-এর আটটি কোর্সের কুইজে নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তাঁরা জিতে নিতে পারবেন আকর্ষণীয় বিভিন্ন পুরস্কার। এই শিক্ষার্থীবান্ধব উদ্যোগগুলো থেকে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সিটিজেনশিপ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষণীয় বিষয় জানতে পারবেন এবং একটি গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা চর্চার পদ্ধতি সম্পর্কে জানবেন। যা তাঁদের ডিজিটাল দুনিয়ায় বিচরণের ক্ষেত্রে আচরণগত পরিবর্তন এনে একজন গর্বিত ডিজিটাল নাগরিকে পরিণত হতে সহায়তা করবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here