মোংলায় যুবলীগ নেতার ভায়ে কলেজ ছাত্রীসহ দুই মেয়ে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এক মা

0
242

স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাটে
বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভায় এক যুবলীগ নেতার ভয়ে কলেজ ছাত্রীসহ দুই মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অসহায় এক মা। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারধর ও প্রাণ নাশের হুমকীর ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েও বাড়ি ফিরতে পারছেন না মোংলা পৌরসভার এম রহমান সড়কের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাকের পরিবার। সোমবার বিকেলে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন আব্দুর রাজ্জাকের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে সুরাইয়া আক্তার (২১)।
সংবাদ সম্মেলনে সুরাইয়া আক্তার জানান, শনিবার সন্ধ্যায় গৃহ শিক্ষককে ডাকতে বাইরে বের হলে পূর্ব শত্রুতার জেরে আমাদের স্থানীয় যুবলীগ নেতা টাইগার জলিল তার বাহিনীর সদস্য প্রতিবেশী ইছাহাক গাছি (৫৫) ও তার ছেলে মো. লাভলু গাছি (২৩) আমার ছোট বোন অমি আক্তারকে (৮) অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। গালিগালাজের কারণ জানতে চাইলে আমাকে ও আমার মাকেও গালিগালাজ করে মারতে আসে। আমরা প্রাণ ভয়ে ছোট বোনকে নিয়ে বাড়ির মধ্যে চলে আসি। পরে রবিবার (২৭ মার্চ) রাত পৌনে ৯টার ইছাহাক গাছি ও মো. লাভলু গাছিসহ ৭-৮ জন আমাদের বাড়ীতে এসে কোন কারন ছাড়াই আমাকে মারধর করে তাদের বাসার মধ্যে নিয়ে যায়। আমার গলায় থাকা আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায় তারা। আমার চিৎকার শুনে স্থানীয় নাজমা বেগম, টুলু বিথিসহ কয়েকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে আমরা মোংলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। তাদের নানা অপরাধের সহযোগি স্থানীয় যুবলীগ নেতা জলিল শিকদার ওরফে টাইগার জলিল আমাদের পরিবারের সকলকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রাম ছাড়া করার কথাও বলে। এই মুহুর্তে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
কলেজ শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তারের মা নাজমা বেগম বলেন, আমার স্বামী ঢাকায় চাকুরী করেন। দুই মেয়ে নিয়ে আমি বাড়িতে থাকি। কিন্তু যুবলীগ নেতা টাইগার জলিল ও মো. লাভলু গাছির অত্যাচারে এখন বাড়িতে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তারা আমার মেয়েকে নানা সময় উত্তক্ত করেছে। মারধরও করেছে আমার মেয়েকে। আমি বাড়ি গেলেই তারা আমাকে মেরে ফেলবে। মেয়েদের নিয়ে এক ধরনের পলাতক জীবন যাপন করছি আমি। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা জলিল শিকদার ওরফে টাইগার জলিল বলেন, ইছাহাক গাছি ও মো. লাভলু গাছিকে আমি ভালভাবে চিনিও না। রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই নারী আমার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় দুই পক্ষের কাছ থেকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়া দুই মেয়ে নিয়ে গৃহবধূর পালিয়ে বেড়ানোর বিষয়ে তারা আমাকে কিছুই জানায়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here